কলাপাড়া প্রতিনিধি :সুন্দরবনের মধ্য দিয়ে বহমান নদীতে লবণাক্ততা বৃদ্ধির কারনে প্রাকৃতিক সম্পদ ও জীব বৈচিত্র ক্ষতিগ্রস্থ্য হচ্ছে। পরিবেশ, ভূ-গঠন প্রকৃতি বিবেচনায় না করে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ ও স্লুইসগেট নির্মান করা হয়েছে। এ কারনে কৃষি, মৎস্য, উদ্ভিদ-প্রানীজ সম্পদের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। “পানি অধিকার ও সাধারণের সুরক্ষা” বিষয়ক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রফেসর ইমতিয়াজ আহমেদ।

তিনি আরও বলেন, ভূ-গর্ভস্থ পানি কোন প্রকার সমীক্ষা ছাড়ায় ব্যাপকহারে উত্তোলন করার ফলেও ভূ পানির স্তর ক্রমশ নিচে নেমে যাচ্ছে। পানি বিষয়ক আইন, আলোচনা ও পরিকল্পনায় রাষ্ট্রের একক মালিকানা প্রতিফলিত হয়। ফলে যাদের জন্য পানি, তারাই আলোচনার বাইরে থেকে যাচ্ছে। এছাড়াও আইনের সীমাবদ্ধতা ও প্রয়োগ জনিত সমস্যার কারণে পানির অধিকার শুধু কল্পনাতেই থেকে যাচ্ছে।

বুধবার সকালে কলাপাড়ার কুয়াকাটার হোটেল বীচ হ্যাভেন মিলনায়তনে সভাপতিত্ব করেন একশন এইড বাংলাদেশ’র কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক একেএম শামিমুল হক সিদ্দিকী। আলোচক ছিলেন, উন্নয়ন সংস্থা বিডিওর নির্বাহী পরিচালক আখতার হোসেন, শার্প এর নির্বাহী পরিচালক শওকত আলী, আভাস এর নির্বাহী পরিচালক রহিমা সুলতানা কাজল, ওয়াটার এইড বাংলাদেশ এর পরিচালক ড.লিয়াকত আলী, জেলে তাহসেন আলী, একশন এইড ইন্ডিয়া প্রোগ্রাম ম্যানেজার বিরেন নায়ক।

সম্মেলনে একশন এইড বাংলাদেশ’র কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির বলেন, পানি ব্যবস্থাপনা কেন্দ্রিক উন্নয়ন কার্যক্রমের নামে নদী শাসন, নদী দখল এবং দুষণের ফলে দেশের পানি সম্পদ ক্ষতিগ্রস্থ ও নদী সমূহের গতি বাধাগ্রস্থ করেছে। এ কারনে প্রতিবছর খরা বা অতি বন্যার শিকার হচ্ছে। মানুষ ও সম্পদ ক্ষতির কবল থেকে রক্ষা করতে জলাধারে নির্মিত পরিবেশ-প্রতিবেশের ক্ষতিকর সকল স্লুইসগেট, ড্যাম ও অন্যান্য কৃত্রিম স্থাপনার অপসারন করতে হবে।
একশন এইড বাংলাদেশ এর সহায়তায় আভাসের আয়োজনে দ্বিতীয় পর্বে আলোচনা ছিল পানি জাদুঘর লোকজ ধারা ও সংস্কৃতি। এ সম্মেলনে বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থার কর্মকর্তা, সমাজসেবক, গণমাধ্যম কর্মীগণ অংশগ্রহণ করেন। সম্মেলন শেষে অতিথিরা কলাপাড়ার নীলগঞ্জের পাখিমারা গ্রামে নির্মিত দেশের প্রথম পানি যাদুঘর পরিদর্শণ করেন।





(এমকেআর/এস/মার্চ১৭,২০১৬)