বান্দরবান প্রতিনিধি :বান্দরবান থেকে ১১ শিশু-কিশোরী মায়ানমারের ঘটনায় এক বৌদ্ধ ভিক্ষুসহ আটক ২ জনকে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে জুডিশিয়াল আদালত। আজ রবিবার অভিযুক্ত বৌদ্ধ ভিক্ষু উসিরি এবং উচথোয়াই মারমাকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট তাহমিনা আফরোজ চৌধুরীর আদালতে হাজির করে ৫ দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত যুক্তি-তর্ক শেষে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গত ২ মাস আগে ৯ থেকে ১৯ বছরের ১৩ শিশু-কিশোরীকে মায়ানমার পাচার করে একটি চক্র। মায়ানমার সেনাবাহিনী ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ এবং স্থানীয় ভিক্ষুদের পারস্পরিক সমযোতায় গত ১৯ মার্চ ভোরে ১১ শিশু -কিশোরীকে ফেরত আনা হয়। ঐদিন সকালে উলাবুনিয়া বিজিবি ক্যাম্প থেকে ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন এবং দুপুর দেড়টায় গাড়ী যোগে ১১ শিশু-কিশোরীকে বান্দরবান ডিবি পুলিশ কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। ১১ শিশু-কিশোরীকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শনিবার দুপুর থেকে এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত ডিবি হেফাজতে রাখা হয়।

এদিকে রবিবার দুপুরে পাচারের ঘটনায় অভিযুক্ত বৌদ্ধ ভিক্ষু উসিরি এবং পথপ্রদর্শক উচ থোয়াই মারমাকে সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতে হাজির করা হয়। আদালত উভয়কে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে এবং মায়ানমার থেকে ফিরিয়ে আনা ১১ শিশু-কিশোরীকে মেডিক্যাল শেষে সোমবার আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেয়।

অপরদিকে ১১ শিশু-কিশোরীকে মায়ানমার থেকে ফিরিয়ে আনার মিডিয়াকারী কেপিএম বৌদ্ধ বিহারের বৌদ্ধ ভিক্ষু হেমানন্দ ডিবি পুলিশের ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেন এবং শনিবার সন্ধ্যার পর ১১ শিশু-কিশোরীকে নির্যাতনের অভিযোগ আনেন। তিনি জানান, ফিরিয়ে আনা শিশু-কিশোরীরা স্বেচ্ছায় একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগদান করার জন্য মায়ানমারের একটি বৌদ্ধ মন্দিরে যান। এখানে পাচারের বিষয়টি অমুলক। একটি চক্র বিষয়টিকে অন্যদিকে নিয়ে যেতে এ ধরনের কাজ করছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।

এদিকে মেদো মারমা জানান, মায়ানমার থেকে তাদের শিশুদের ফিরিয়ে আনার পর এখনো পর্যন্ত কোন ধরনের স্বাক্ষাত কিংবা যোগাযোগ করতে দেয়নি পুলিশ। এ বিষয়ে তারা নানা ধরনের শংকায় রয়েছেন বলেও জানান তিনি।

(এএফবি/এস/মার্চ২০,২০১৬)