সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : মঙ্গলবার সাতক্ষীরা জেলার ৭৮টি  ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নজর কাড়তে চলেছেন জজ কোর্টের তিনজন পাবলিক প্রসিকিউটর। তবে তারা নির্বাচনী বিধিমালা অনুযায়ি রাষ্ট্রপক্ষের পিপি’র মাধ্যমে ইস্তফা পত্র জমা না দেওয়ায় তাদের নির্বাচনী বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশিষ্টজনেরা।

সাতক্ষীরা জেলা নির্বাচন কমিশনারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শ্যামনগর উপজেলা সদরে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি অ্যাড.এসএম জহুরুল হায়দার বাবু। একই উপজেলার পদ্মপুকুর ইউনিযনে নৌকা প্রতীকে লড়ছেন অতিরিক্ত পিপি অ্যাড. মোঃ আতাউর রহমান সরদার। সদর উপজেলার লাবসা ইউনিয়নে নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়ছেন সহকারি পিপি অ্যাড. শেখ মোস্তাফিজুর শাহানওয়াজ। তাদের পোষ্টারে বড় আকারে ছাপা আছে পিপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করার কথা।যা’ নির্বাচনী হলফনামায় নেই।

জেলা নির্বাচন কশিনার ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার আগে অর্থাৎ ২০ ফেব্র“য়ারির আগে বা পরে ওই তিনজন পিপি জজ কোর্টের পিপি অ্যাড, ওসমান গণির কাছে কাছে ইস্তফাপত্র জমা দেননি। ইস্তফাপত্র জমা না দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের পিপি অ্যাড. ওসমান গণি।

কয়েকজন নির্বাচন বিশেষজ্ঞ জানান, যারা সরকারি পদে থেকে সরকারি বেতন ভাতা ভোগ করে থাকেন তারা নির্বাচন করতে গেলে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ইস্তফাপত্র জমা দেবেন। যদিও তারা জমা না দিয়ে থাকেন তাহলে নির্বাচনে বিরোধী প্রার্থীরা যাঁচাই বাছাই পর্বে আপত্তি জানালে ওইসব সরকারি কর্মকর্তাদের মনোনয়ন বাতিল হয়ে যায়। তবে ক্ষমতাসীন দলের লোক হলে বর্তমান প্রেক্ষাপটে অভিযোগ না করাটাই স্বাভাবিক। যেখানে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও বিরোধী দলীয় প্রার্থীরা মাঠেই থাকতে পারছে না সেখানে অভিযোগ করার প্রশ্নই ওঠে না।

এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান প্রার্থী অ্যাড. এসএম জহুরুল হায়দার বাবুর ০১৭১২-৪০৪১৪১, অ্যাড. মোঃ আতাউর রহমান সরদারের ০১৭১১-৪৭৯২৯৮ ও অ্যাড. শেখ মোস্তাফিজুর শাহানওয়াজ এর ০১৭২১- ৮০৪২৪৩ নম্বর মোবাইলে কথা বলার চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া যায়নি।



(আরএনকে/এস/মার্চ২১,২০১৬)