যশোর প্রতিনিধি : যশোরে বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী দুই সহপাঠী নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার বিকেলের দিকে যশোর মাগুরা মহাসড়কের পাঁচবাড়িয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- যশোর সদর উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে মাজিদুল হাসান মিরাজ (২০) ও ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার মশিয়াহাটি গ্রামের শহর আলীর মেয়ে শান্তা খাতুন (১৮)।

তারা দুজন যশোর মুসলিম এইড পলিটেকনিক কলেজের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সের শিক্ষার্থী। তাদের বিয়ে দেওয়া হবে বলে পারিবারিকভাবে কথাবার্তা চূড়ান্ত ছিল বলে স্বজনরা জানিয়েছেন। শান্তাকে বাড়ি পৌঁছে দিতে যাচ্ছিলেন মিরাজ। এ সময় দুর্ঘটনায় তারা মারা যান।

যশোর মুসলিম এইড পলিটেকনিক কলেজের রেজিস্টার নূর ইসলাম প্রত্যক্ষদর্শীদের উদ্ধৃতি দিয়ে জানান, বিকেলে মোটরসাইকেলে করে মিরাজ ও শান্তা যশোর-মাগুরা মহাসড়কের খাজুরা বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। পথে যশোর সদর উপজেলার পাঁচবাড়িয়া আমতলা মোড়ে পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা যাত্রীবাহী বাস মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়।

এতে ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেল চালক মিরাজ মারা যান। গুরুতর আহত অবস্থায় যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার কিছুক্ষণ পরেই মারা যান শান্তা খাতুন।

দুর্ঘটনার পরপরই যশোর মাগুরা সড়কে বেশ কিছুসময় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

নিহত শান্তা খাতুনের মা আলেয়া বেগম বলেন, তার মেয়ে কলেজ যাওয়ার জন্য সকালে বাড়ি থেকে এসেছিলো। কলেজ থেকে ফেরার পথে এক আত্মীয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য কেনাকাটা করতে চেয়েছিলো। কিন্তু তার আগেই ঘাতক বাস কেড়ে নিল তার প্রাণ।

যশোর কোতোয়ালি থানার ডিউটি অফিসার এএসআই শারমিন জানান, পুলিশ দুজনের লাশ উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় কেউ আটক হয়নি।

এদিকে, দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় গোটা কলেজ ক্যাম্পাসে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। দুর্ঘটনার খবর শুনে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা হাসপাতালে ছুটে যান।

(ওএস/এএস/মার্চ ২২, ২০১৬)