সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : বেতনের টাকা স্বামীকে না দেয়ায় রাফিজা খাতুন ময়না নামের স্কুল শিক্ষিকাকে (২৫) শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। হত্যার পর লাশের গলায় ওড়না বেঁধে ঘরের মধ্যে সিলিং ফ্যানে ঝুলিয়ে আত্মহত্যার প্রচার দেওয়া হয়েছে। বৃহষ্পতিবার ভোরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আলীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত নাফিজা খাতুন ময়না সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আলীপুর ঢালীপাড়ার মোখলেছুর রহমানের স্ত্রী।

আলীপুর গ্রামের রেজাউল ইসলাম জানান, একই গ্রামের সলেমান সরদারের ছেলে কৃষক মোখলেছুর রহমানের সঙ্গে তার চাচাত বোন রাফিজার চার বছর আগে বিয়ে হয়। বর্তমানে লতা ও পাতা নামে তাদের তিন বছরের যমজ সন্তান রয়েছে। নাফিজা খাতুন ময়না ব্রাক পরিচালিত শিশু শিক্ষা স্কুলে শিক্ষকতা করতেন। মাসিক বেতনের একটি অংশ সঞ্চয় করে বুধবার দুপুরে ৫০ হাজার টাকা দীর্ঘ মেয়াদী আমানত হিসেবে দু'মেয়ের নামে সাতক্ষীরার একটি ব্যাংকে জমা করে রাফিজা। জানতে পেরে স্বামী মোখলেছুর রহমান,শ্বশুর সলেমান সরদার শ্বাশুড়ি আলেয়া খাতুন নাফিজাকে বেধম মারপিট করেন। মাঝরাতে তাকে দ্বিতীয় দফায় মারপিট করা হয়। নির্যাতনের একপর্যায়ে বৃহষ্পতিবার ভোর চারটার দিকে তার মৃত্যু হলে লাশের গলায় ওড়না বেঁধে ঘরের মধ্যে ঝুলন্ত ফ্যানের সঙ্গে বেঁধে আত্মহত্যার প্রচার দেওয়া হয়। হত্যার বিষয়টি স্থানীয়রা তার দু’ সন্তানের কাছ থেকে জানতে পারায় মোকলেছুর রহমান, তার বাবা ও মা পালিয়ে যায়।

সাতক্ষীর সদর থানার উপপরিদর্শক নজরুল ইসলাম জানান, মৃতের শরীরে একাধিক স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। সদর হাসপাতালে ময়না তদন্ত শেষে লাশ তার স্বজনদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা আব্দুল্লাহ বাদি হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

(আরকে/এএস/মার্চ ২৪, ২০১৬)