বাগেরহাট প্রতিনিধি : শনিবার বেলা সোয়া ১০টার দিকে বাগেরহাট স্টেডিয়ামে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত তিন এমপির সামনে জেলা প্রশাসকের কাছে বিনা অপরাধে ছেলে ও জামাতাকে কারাদন্ড দেয়ার বিষয়টি জানাতে গিয়ে কাদঁলেন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা বাহার আলীর স্ত্রী রেহেনা বেগম।

এ সময় জেলা প্রশাসক মো. জাহাংগীর আলম রবিবার তদন্তপূর্বক ব্যবস্থার নেয়ার আশ্বাস দেন। শুক্রবার বিকালে ছেলে ও জামাতাকে ৭ দিনের কারাদন্ড দেন ভ্র্যাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিষ্ট্রেট (সহকারী কমিশনার ভুমি) তাসনিম ফারহানা।

শহীদ মুক্তিযোদ্ধা বাহার আলীর স্ত্রী রেহেনা বেগম জানান, বাগেরহাট সদর উপজেলার বরুইপাড়া ইউনিয়নের লাউপালা এলাকায় প্রায় ৩৫ বছর ধরে সরকারি জমিতে ৩০-৩২ টি ভুমিহীন পরিবার বসাবস করছেন। ৭ বছর আগে স্বামী মারা যায়। শুক্রবার জামাই আসলাম বেড়াতে আসলে ছেলের সাথে বসত ঘরটি সংস্কার করার জন্য কাজ শুরু করে। এখবর পেয়ে বিকালে সহকারী কমিশনার ভূমি (সদর) তাসনিম ফারহানার নেতৃত্বে পুলিশ শহীদ মুক্তিযোদ্ধা বাহার আলীর ছেলে দুলাল শেখ (১৫) ও জামাতা আসলাম (২৫) কে আটক করে নিয়ে আসে ভুমি অফিসে। এ সময় অনেক অনুরোধ জানিয়েও কোন প্রতিকার পাননি। পরে সন্ধ্যায় সরকারি জমিতে ঘর তৈরির অভিযোগে ভ্র্যাম্যমান আদালত বসিয়ে দুইজনকে ৭ দিনের কারাদন্ড দেন।

রেহেনা বেগম আরও বলেন, ওই জমিতে আরও ৩১ টি বসত ঘর রয়েছে তাদের ব্যাপারে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে আমার বাসার পাশে আয়ুব কাজী নামের এক লোক নায়েবের সাথে পরামর্শ করে আমার সন্তান ও জামাতাকে ষড়যন্ত্র করে জেল দিয়েছে। আয়ুব কাজীর ভাই আইনজীবী শহিদুল্লাহর প্রভাব খাটিয়ে এই ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

এ বিষয়ে জানতে বাগেরহাট সদর সহকারী কমিশনার ভূমি কর্মকর্তা তাসনিম ফারহানার মুঠোফোনে বার বার ফোন দেয়া হলে তিনি রিসিভ করেননি।

বাগেরহাট সদর উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরীফ নজরুল ইসলাম বলেন, আমার এব্যাপারে আমার কিছু জানা নাই।

বাগেরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, সরকারি সম্পত্তিতে বসাবসকারীদের উচ্ছেদের জন্য নোটিশ দেয়া হয়। নোটিশ উপেক্ষা করে তারা পুনরায় ঘর তৈরি করার চেষ্টা করলে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে ২৫ মার্চ তাদের ৭ দিনের সাজা দেয়া হয়।

(একে/এএস/মার্চ ২৬, ২০১৬)