বাগেরহাট প্রতিনিধি :বাগেরহাটের শরণখোলায় নির্বাচনোত্তর সহিংসতায় শুক্রবার রাতে থেকে শুরু হয়েছে আগুন সন্ত্রাস। এক রাতেই শরণখোলার খোন্তাকাটা ও সাউথখালী ইউনিয়নে ৫টি বসত ঘর, একটি গোয়ালঘর ও সাতটি খড়ের গাদায় অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। এসময়ে ভোট দেয়া না দেয়া নিয়ে সংঘর্ষে তিন জন আহত হয়েছে।

পূর্ব খোন্তাকাটা তুলাতলা এলাকায় নির্বাচিত ইউপি সদস্য জাকির গাজীর সমর্থক শুক্রবার রাতে মোস্তফা খলিফার বাড়িতে হামলা চালিয়ে একটি বসত ঘর আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়। এসময়ে আগুন ও লুটপাটে বাধা দিতে গিয়ে সন্ত্রাসী হামলায় ফিরোজা বেগম (৩০), মনিরা (১৭) ও মিরাজ (১৫) নামে ৩জন আহত হয়। তাদের শরণখোলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ভোট না দেয়ার অপরাধে একই রাতে ওই এলাকার দুলাল ফরাজির বাড়ীতে পরাজিত মেম্বার প্রার্থী হাবিব ও নাসির শরিফের সমথকেরা আগুন দিয়ে তার একটি বসত ঘরটি জ্বালিয়ে দেয়। অপরদিকে, সাউথখালীর তজুমুদ্দির গেট সংলগ্ন এলাকায় একই রাতে ভোট দেয়া না দেয়া নিয়ে প্রতিপক্ষরা জাহাঙ্গির জোমাদ্দার, বেলায়েত জোমাদ্দার ও মধু জোমাদ্দারের ৩টি বসত বাড়ী, ৭টি খঁড়ের গাদা ও একটি গোয়ালঘরে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়।

সোনতালা ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. শফিকুল ইসলাম ডালিম তার এলাকায় বসত ঘরে আগুন দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পূর্ব খোন্তাকাটা ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জাকির হোসেন গাজী জানান, তাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করায় পরাজিত প্রার্থী ও তার সমর্থকেরা এলাকায় তান্ডব চালাচ্ছে। তাদের ভয়ে তিনি নিজেও এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। খোন্তাকাটা ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মো. জাকির হোসেন মহিউদ্দিন খান জানান, অগ্নি সংযোগ, ভাংচুর ও লুটপাটের সাথে ইউপি সদস্য জাকির গাজীর ইন্ধোন রয়েছে। বিষয়টি থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে।


(এসএকে/এস/মার্চ২৭,২০১৬)