স্টাফ রিপোর্টার: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন,
দলটির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রচারের জন্য আইনি লড়াই করা হবে ।

রবিবার (২৭ মার্চ) সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যলয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ইন্টারপোলের কাছে সরকার মিথ্যা তথ্য দিয়ে তারেক রহমানের নামে রেড এলার্ট জারি করিয়েছিলো। যা ইতোমধ্যে ইন্টারপোল প্রত্যাহার করে নিয়েছে।’

ইন্টারপোলে মিথ্যা তথ্য সরবরাহের কারণে পুলিশের সচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

মির্জা ফখরুল লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করেন, ‘২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় আওয়ামী লীগ দলীয় সমর্থক এবং এমপি পদপ্রার্থী সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা আব্দুল কাহার আকন্দকে দিয়ে পুন‍ঃতদন্ত করিয়ে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে বিএনপি’র সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে মামলার আসা‍মি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এরপর বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে তারেক রহমানকে পলাতক দেখিয়ে তার সম্পর্কে বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে ইন্টারপোল মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য সরবরাহ করা হয়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ইন্টারপোল ২০১৫ সালের এপ্রিল মাসে রেড নোটিশ জারি করে।’

তিনি বলেন, ‘ইন্টারপোল রেড নোটিশ জারি করার পর এর যৌক্তিকতা নিয়ে তারেক রহমানের পক্ষে লন্ডনিয়াম সলিসিটর্স ইন্টারপোল হেড কোয়ার্টার্সে আপিল করা হয়। সেই আপিল গ্রহণ করে ইন্টারপোল তাদের নিজস্ব পদ্ধতিতে তারেক রহমান সম্পর্কে বাংলাদেশ সরকারের সরবরাহ করা তথ্য যাচাই করার পর কোন সত্যতা না পাওয়ায় এবং বিষয়টি তাদের আর্টিকেল ৩ এর ধারায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত প্রমাণিত হওয়ায় রেড নোটিশ প্রত্যাহার করে নিয়েছে।’

ফখরুল বলেন, ‘ইন্টারপোল জেনারেল সেক্রেটারিয়েট তাদের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো এনসিবি থেকে তারেক রহমান সম্পর্কে বাংলাদেশ সরকারের দেওয়া সব তথ্য মুছে ফেলা হয়েছে। শুধু তাই নয়, ইন্টারপোল বিভিন্ন দেশে অবস্থিত তাদের সব সার্ভার ও ডাটাবেজ থেকেও এই তথ্য মুছে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসূফ, সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু, সহদফতর সম্পাদক আব্দুল লতিফ জনি, শামীমুর রহমান শামীম প্রমুখ।


(ওএস/এস/মার্চ২৭,২০১৬)