আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মিশরের ইজিপ্ট এয়ারের ছিনতাই হওয়া বিমানের বেশিরভাগ মানুষকেই উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। ইজিপ্ট এয়ার জানিয়েছে, বিমান ছিনতাইকারীর সঙ্গে দর কষাকষির পরে এমএস১৮১ ফ্লাইটের চার জন বিদেশি যাত্রী ও ক্রু মেম্বাররা ছাড়া সবাইকেই ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

এর আগে আলেকজান্দ্রিয়া থেকে কায়রো যাওয়ার পথে ইজিপ্টএয়ারের আভ্যন্তরীণ রুটের ফ্লাইটটি ছিনতাই হয়। বিবিসি ইজিপ্ট এয়ারের বরাত দিয়ে জানায় মিশর থেকে ৮১জন আরোহীসহ হাইজ্যাক হওয়া প্লেনটি সাইপ্রাসের লারনাকা বিমানবন্দরে অবতরণ করে। তবে রয়টার্স জানিয়েছে, ক্রু ও যাত্রী মিলিয়ে সেখানে ৬৭ জন ছিলেন। কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন, যাত্রীদের সবাইকে মুক্ত করে দিয়েছে ছিনতাইকারীরা। তবে, ঐ ফ্লাইটের চারজন বিদেশী যাত্রী এবং বিমানের ক্রুদের এখনো জিম্মি করে রাখা হয়েছে।

ইজিপ্টএয়ার জানিয়েছে, ছিনতাই হওয়ার পর তাদের ফ্লাইট এমএস ১৮১ কে সাইপ্রাসে নিয়ে দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দর শহর লারনাকার বিমানবন্দরে নামতে বাধ্য করা হয়। ওই বিমানের পাইলট ওমর আল-জামালের বরাত দিয়ে মিশরের সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যাত্রীদের মধ্যে থেকেই একজন উঠে এসে বোমার বেল্ট দেখিয়ে বিস্ফোরণ ঘটানোর হুমকি দেয় এবং লারনাকায় নামতে বাধ্য করে। সেখানে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনার পর ছিনতারীকারী ক্রু ও চার বিদেশি যাত্রীকে রেখে বাকিদের ছেড়ে দেওয়া হয় বলে ইজিপ্টএয়ার এক টুইটে জানায়।

এরপর স্থানীয় টেলিভিশনে প্রচারিত ভিডিওতে ওই উড়োজাহাজ থেকে যাত্রীদের নেমে একটি বাসে উঠতে দেখা যায়। এই পরিস্থিতিতে লারনাকা বিমানবন্দরে বিমান ওঠানামা বন্ধ করে দিয়ে সাইপ্রাসমুখী সব বিমানকে অন্য দিকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় বলে বিবিসি জানিয়েছে।

তবে ছিনতাইকারীর বেল্টে সত্যিই বিস্ফোরক আছে কি না- তা নিশ্চিত করতে পারেননি সাইপ্রাসের কর্মকর্তারা। রয়টার্স জানিয়েছে, ওই ছিনতাইকারীকে ইব্রাহীম সামাহ নামের এক ব্যক্তি হিসেবে সনাক্ত করেছে মিশরীয় গণমাধ্যমগুলো। তবে তার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। বিমানের যাত্রীদের মধ্যে আটজন ব্রিটিশ এবং দশজন আমেরিকান নাগরিক থাকলেও ঠিক কাদের জিম্মি করে রাখা হয়েছে তা এখনো প্রকাশ করেনি কর্তৃপক্ষ।

(ওএস/এএস/মার্চ ২৯, ২০১৬)