সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার নূরনগর মহিলা দাখিল মাদ্রাসার সুপার শেখ বাবুল আক্তারের হত্যাকারী ঝাড়ুদার আবুল কালামকে আটক করে জনতা পুলিশে সোপর্দ করেছে।



শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে তাকে নূরনগর বাজারের হার্ডওয়ার ব্যবসায়ি কাশীনাথ মণ্ডলের বাথরুম থেকে জনতা তাকে আটক করে। বিকেলে সে সাতক্ষীরার জ্যেষ্ট বিচারিক হাকিম মোর্শেদুল আলমের কাছে হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

এদিকে বাবুল আক্তার হত্যা মামলায় প্রথমে নিহতের ভাই শেখ জিয়াউর রহমান বাদী হয়ে কারো নাম উল্লেখ করে থানায় অভিযোগ দিলেও একটি মহল তাদের প্রতিপক্ষকে জব্দ করতে তড়িঘড়ি করে নিহতের বাবা আনছার আলী শেখকে দিয়ে মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা শেখ লিয়াকত আলীসহ আরো চারজনের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত মামলা করিয়েছে।

শ্যামনগর থানার উপপরিদর্শক আমজাদ হোসেন জানান, নৈশপ্রহরী/ দফতরী পদে চাকুরি না পাওয়ায় নুরনগর মহিলা দাখিল মাদ্রাসার ঝাড়ুদার আবুল কালমের সঙ্গে সুপারইনটেনডেণ্ট শেখ বাবুৃল আক্তারের বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে বৃহষ্পতিবার দুপুর পৌনে দু'টোর দিকে উপজেলার নূরনগর গ্রামের সৈয়দ হোসেনের বাড়ির সামনে বাবুল আক্তারকে ধারালো দা দিয়ে জবাই করে হত্যা করে আবুল কালাম পালিয়ে যায়। রাতে সে নুরনগর বাচারের মাহফুজের বাড়ির ছাদে অবস্থান নেয়। বিষয়টি জানতে পেরে স্থানীয় লোকজন তাকে ধাওয়া করলে সে পার্শ্ববর্তী কাশীনাথ মণ্ডলের বার্থরুমের মধ্যে ঢুকে পড়ে। শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে তাকে সেখান থেকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

জিজ্ঞাসাবদে সে বাবুল আক্তারকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। সে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

তিনি আরো জানান, সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে ময়না তদন্ত শেষে বাবুল আক্তারের লাশ তার স্বজনদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। সন্ধ্যায় আবুল কালাম জ্যেষ্ট বিচারিক হাকিম মোর্শেদুল আলমের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

প্রসঙ্গত, চাকরি না পেলেও ঘুষের সাড়ে চার লাখ টাকা ফেরৎ না দেওয়ায় নুরনগর মহিলা দাখিল মাদ্রাসার সুপার বাবুল আক্তারকে বৃহষ্পতিবার দুপুর দু'টোর দিকে হত্যা করে আবুল কালাম (৩৮)। এ ঘটনায় নিহতের ভাই শেখ আনছার আলী বাদি হয়ে শুক্রবার আবুল কালামসহ ছয়জনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছন।


(ওএস/এস/এপ্রিল০১,২০১৬)