বান্দরবান প্রতিনিধি :স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ও রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের অধ্যাপক ডাঃ আবুল খায়ের মোহাম্মদ শামছুজ্জামান বলেছেন, 'পাহাড়ে স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে হবে যে কোন মূল্যে। দুর্গম এলাকায় গিয়ে স্বাস্থ্য সেবা বঞ্চিত সকল নাগরিককে ঠিত মতো স্বাস্থ্য সেবা দিতে না পারলে চাকুরী ছেড়ে চলে যান-আপনাদের স্থলে চাকুরী করতে দেশের-অনেক দেশপ্রেমিক আছে।'

কৃমি মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ-২০১৬ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তেব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শনিবার বিকেলে বান্দরবান জেলার দুর্গম ও মিয়ানমার সীমান্তবর্তী নাইক্ষংছড়ি উপজেলার মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জাতীয় পর্যায়ের শিশুদের কৃমি নাশক ট্যাবলেট খাইয়ে কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহের উদ্বোধন করা হয়।

প্রধান অতিথি তিনি আরো বলেন, ২০০৮ সালের আগে কৃমি সংক্রমণের হার ছিল শতকরা ৭৯জন । এর পর থেকে সারা দেশে এপ্রিল ও অক্টোবরের প্রথম সপ্তায় সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কৃমি নাশক ওষুধ সেবনের এ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। তিনি বলেন, তিন পার্বত্য জেলার অধিকাংশ এলাকা অত্যন্ত দুর্গম। সেখানে স্বাস্থ্য সেবা পৌছে দিতে সেনা বাহিনী ও বিজিবি’র সহযোগিতা প্রয়োজন। তিনি আরো বলেন, পার্বত্য এলাকার অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকায় থাকা সামরিক বাহিনীকে এ কাজে সম্পৃক্ত করা গেলে কর্মসূচী দারুন ভাবে বাস্তবায়িত হবে। এ ব্যাপারে তিনি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণারয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

বান্দরবান সিভিল সার্জন ডা. উদয় শংকর চাকমার সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে নাইক্ষ্যংছড়ি ৩১ বিজিবি জোনের উপ-অধিনায়ক মেজর মো.শাহিন আক্তার,পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য ক্যউচিং চাক,উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু শাফায়াৎ মুহম্মদ শাহেদুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. কামাল উদ্দিন, নাইক্ষ্যংছড়ি আওয়ামীলীগের যুগ্ন আহবায়ক মোঃ তসলিম ইকবালসহ স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মী এবং বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক বান্দরবানের পাহাড়ী-বাঙ্গালী শিল্পীদের অংশগ্রহনে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।



(এএফবি/এস/এপ্রিল০৩,২০১৬)