বাগেরহাট প্রতিনধি : বাগেরহাটে মঙ্গলবার রাতে আকস্মিক কালবৈশাখী ঝড়ের আঘাতে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে বাগেরহাট জেলা। শহরে ১৫ ঘন্টা পর বুধবার সকাল ১১টার পর আংশিক বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হলেও পুরো জেলা এখনো অন্ধকারে রয়েছে।

মঙ্গলবার রাত ৮টা থেকে প্রায় পৌনে একঘণ্টা স্থায়ী ঝড়ে জেলা সদরসহ কচুয়া, চিতলমারী, ফকিরহাট, মোল্লাহাট ও রামপাল উপজেলার হাজার- হাজার বাড়ি-ঘর বিধ্বস্ত ও ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির হয়েছে। বিভিন্ন স্থাপনাসহ বিপুল সংখ্যক গাছপালা উপড়ে যাওয়ায় রাত ১২টা পর্যন্ত খুলনা- বাগেরহাট- বরিশাল মহাসড়কে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

মঙ্গলবার রাতে আকষ্মিক কালবৈশাখী ঝড়ে জেলা সদরসহ কচুয়া, চিতলমারী, ফকিরহাট, মোল্লাহাট ও রামপাল উপজেলার জনপ্রতিনিধিরা হাজার-হাজার বাড়ি-ঘর বিধ্বস্ত ও ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, অনেক পরিবার এখন আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে। জরুরী ভিত্তিতে তাঁদের জন্য ত্রানের প্রয়োজন।

প্রচন্ড বাতাসে গাছপালা পড়ে জেলা সদরসহ উপজেলাগুলোর বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গেছে। সেগুলো মেরামতের কাজ শেষ করতে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত লেগে যেতে পারে বলে জানিয়েছে বিদুৎ বিভাগ। বুধবার সকাল ১১টার পর জেলা শহরে আংশিক এলাকায় বিদ্যৎ সংযোগ দেয়া সম্বব হয়েছে।

বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মো. জাহাংগীর আলম জানান, ঝড়ে প্রাথমিক ভাবে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। তবে, তীব্র বাতাসে বিভিন্ন স্থানে বিপুল সংখ্যক গাছপালা উপড়ে গেছে এবং বিভিন্ন উপজেলায় কাঁচা ও আধাপাকা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত খবর আসছে। খুলনা- বাগেরহাট- বরিশাল মহাসড়কের ওপর থেকে ভেঙ্গে পড়া গাছপালা সরিয়ে নেয়ার পর রাত ১২টার পর থেকে যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে।

ঢাকা-মাওয়া-মংলা মহাসড়কের ওপর ভেঙ্গে পড়া গাছপালা রাতের মধ্যেই অপসারন করা হয়েছে। উপজেলা থেকে ক্ষয়ক্ষতির হিসেব না আসা পর্যন্ত সঠিক পরিমাণ জানানো সম্ভব নয়। তবে জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন, দ্রুত ক্ষয়ক্ষতির সঠিক পরিমাণ জানতে স্ব স্ব উপজেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

(একে/এএস/এপ্রিল ০৬, ২০১৬)