আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : দক্ষিণাঞ্চলে পহেলা বৈশাখকে সামনে রেখে জাটকা নিধন বেড়েই চলেছে। বাজারে ইলিশের চাহিদা বৃদ্ধি ও দাম বাড়ার কারণে জাটকা নিধনের মহোৎসবে মেতেছে একটি চক্র। নানা সতর্ক বার্তা আর অভিযানের ভয়কে উপেক্ষা করে কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ীদের ইন্ধনে জাটকা ইলিশ নিধনে মেতে উঠেছে জেলেরা। প্রতিনিয়ত শত শত মন জাটকা (ছোট ইলিশ) শিকার করা হচ্ছে।

অপরদিকে প্রতিদিনই কোস্টগার্ড অভিযান চালিয়ে অবৈধ কারেন্ট জালসহ বিপুল পরিমান জাটকা জব্দু করছে। এর আগে কোস্টগার্ডের বিশেষ অভিযানে ১’শ মন জাটকা ও বিপুল পরিমান কারেন্টজাল জব্দ করে তা পুড়িয়ে ফেলা হয়। সবমিলিয়ে ইলিশ সম্পদ রক্ষায় সক্রিয় ভূমিকায় কোস্টগার্ড, নৌ-পুলিশ ও মৎস অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। প্রতিনিয়ত এসব বাহিনীর সদস্যরা পৃথক অভিযান চালিয়ে জাটকা ইলিশ, কারেন্ট জাল ও জেলেদের আটক করছেন। আটককৃতদের নানা ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা ও জরিমানাও করা হচ্ছে।

বরিশাল কোস্টগার্ডের কন্টিনজেন্ট কমান্ডার মোঃ মুনজুরুল করিম বলেন, জাটকা নিধন রোধকল্পে আমাদের সর্বাত্মক প্রচেস্টা ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আমরা আমাদের সাধ্যমত নজর রাখছি। শুধু আটক করাই নয়, কেউ যাতে নদীতে জাটকার জাল ফেলতে না পারে সেদিকে আমরা নজর রাখতে চেষ্টা করছি।

তাছাড়া মৎস অফিস, নৌ-পুলিশের সমন্বয় করেই নজরদারী করা হচ্ছে। বরিশাল নৌ পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মোতালেব হোসেন জানান, ইলিশ সম্পদ রক্ষায় জাটকা নিধনের রিরুদ্ধে আমাদের সর্বাত্মক প্রচেস্টা অব্যাহত রয়েছে। গত সপ্তাহে অভিযানে বিপুল পরিমানে জাটকাসহ জাল জব্দ করা হয়েছে। এ সপ্তাহে কালাইয়া ৩ মন জাটকা, নাজিরপুরে ৪০মন, সদর এলাকায় ১৩ ব্যারেল জাটকা আটক হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, যারা জাটকা ধরছে তারা লোভে পরে মুলত আমাদের মৎস ভান্ডারকে ধ্বংস করছে। এ ধরনের যেকোন সংবাদ পেলেই আমরা অভিযান চালিয়ে থাকি। সাধারণ মানুষ আরও সচেতন হলে এ অভিযানের আরও সহায়ক হবে।

(টিবি/এএস/এপ্রিল ০৯, ২০১৬)