নিউজ ডেস্ক : বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রি মেসেজিং অ্যাপ হচ্ছে, হোয়াটসঅ্যাপ। ইন্টারনেটযুক্ত ফোনে এই অ্যাপটির সাহায্যে যত খুশি তত ফ্রি মেসেজ পাঠানো যায়, এজন্য ফোনের ব্যালেন্স কোনো টাকাও কাটে না।

বন্ধুদের সঙ্গে চুটিয়ে আড্ডা দিতে কিংবা পেশাদার জীবনের পরিচিতের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে অনেকেই হোয়াটস অ্যাপের ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু জনপ্রিয় এই অ্যাপে অজানা কারো কাছ থেকে আপনার কাছে আসতে বিশেষ ধরনের মেসেজ এবং মেসেজটি সত্যি বলে মেনে নেওয়া মানেই ফাঁদে পা দেওয়া। অর্থাৎ প্রতারিত হতে পারেন আপনি।

তাই অপরিচিতদের কাছ থেকে যেসব মেসেজ আসবে, না বুঝেই তা বিশ্বাস করে নেবেন না। জেনে নিন হোয়াটসঅ্যাপে আসা কিছু মেসেজ, যেগুলো থেকে আপনার সাবধান থাকা উচিত।

* ব্যবহারকারীদের কাছে হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ কখনো ব্যাংক অ্যাকাউন্টের বিস্তারিত তথ্য চায় না। তাই ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট নম্বর, এটিএম ও ক্রেডিট কার্ড সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে কোনো মেসেজ আসলে, তা এড়িয়ে যান। তা না হলে প্রতারিত হয়ে যেতে পারেন।

* হোয়াটসঅ্যাপের অফিসিয়াল ব্লগে বলে হয়েছে যে, তাদের পক্ষ থেকে কাউকে কোনো মেসেজ করা হয় না। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায়, হোয়াটসঅ্যাপের নাম করে ব্যক্তিগত তথ্য জানতে চেয়ে কিছু মেসেজ আসে। যা হোয়াটসঅ্যাপের মেসেজ বলে দাবি করা হয়। এ ধরনের মেসেজে ভরসা করবেন না।

* সাম্প্রতিক সময়ে হোয়াটসঅ্যাপ সংক্রান্ত একটি মেসেজ ভাইরাল হতে দেখা গেছে। তাতে বলা হয় মেসেজটি বন্ধুদের ফরোয়ার্ড করলে আপনার হোয়াটসঅ্যাপ ফ্রি হয়ে যাবে। কিন্তু এটা সত্যি নয়। কারণ, ইতিমধ্যে হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করেছে, হোয়াটসঅ্যাপ বর্তমানে পুরোপুরি ফ্রি। প্রতারকরা আসলে এ ধরনের মেসেজ পাঠিয়ে আপনাকে ঠকিয়ে অর্থ উপার্জনের ধান্ধা করে।

* হোয়াটসঅ্যাপ আপডেট করলে সব ফিচার স্বয়ংক্রিয় আপডেট হয়ে যায়। এতে কোনো ফিচার আলাদা করে আপডেট করার দরকার হয় না। তাই হোয়াটসঅ্যাপ ভিডিও কলিং অ্যাক্টিভেশন সংক্রান্ত কোনো মেসেজে এলে এড়িয়ে যান। কারণ এতে যে লিংক দেওয়া থাকে তাতে ক্লিক করলেই আপনার ফোনে থাকা যাবতীয় ডাটা চলে যেতে পারে হ্যাকারদের হাতে।

* অনেক সময় শুধুমাত্র আতংক তৈরি করা জন্য মেসেজ পাঠানো হয়ে থাকে। যেমন, বিভিন্ন জায়গায় বোমার ভুয়া ফোন করা হয়ে থাকে। সুতরাং আতংক ছড়াতে পারে এমন মেসেজও হোয়াটসঅ্যাপে আসতে পারে। আর আপনি যদি সেই মেসেজ বিশ্বাস করে অন্যকে ফরোয়ার্ড করেন, তাহলে বিপদে পড়তে পারেন। হতে পারে পুলিশি ঝামেলাও। সুতরাং এ ধরনের ভুয়া মেসেজ এড়িয়ে চলুন।

* লটারি জয়ের মেসেজ বিশ্বাস করবেন না। এ ধরনের মেসেজ আসে সবচেয়ে বেশি। লটারি জয়ের লোভ দেখিয়ে হ্যাকাররা আপনার কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার জন্য এ ধরনের মেসেজ পাঠিয়ে থাকে।

* হোয়াটসঅ্যাপ বন্ধ হতে চলেছে, এ ধরনের মেসেজও ভাইরাল হতে দেখা গেছে। মেসেজে বলা হয় টাকা না মেটালে আপনার হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হবে। এই মেসেজও সত্যি মনে করে ব্যাংকের তথ্য বা ক্রেডিট কার্ডের তথ্য দিতে যাবেন না। আর এ ধরনের মেসেজ কাউকে ফরোয়ার্ডও করবেন না। কারণ এগুলো ভুয়া মেসেজ। শুধুমাত্র প্রতারিত করার জন্যই পাঠানো হয়।

* হোয়াটসঅ্যাপে একটা লিংক দিয়ে বলা হয়, লিংকটিতে ক্লিক করলে প্রথম ১০০ জনকে বিনা মূল্যে ৩০০ টাকা মোবাইল রিচার্জ করে দেওয়া হবে কিংবা বিনা মূল্যে এত জিবি ইন্টারনেট ডাটা পাওয়া যাবে। - এ ধরনের মেসেজও কিন্তু প্রতারণামূলক।

* প্রতারণার উদ্দেশ্যে ছাড়াও, অনেক সময় শুধু বোকা বানিয়ে মজা নেওয়ার জন্যও বিভিন্ন মেসেজ দেখা যায় হোয়াটঅ্যাপে। যেমন- মেসেজটি অন্যকে পাঠিয়ে ম্যাজিক দেখুন কিংবা মেসেজটি পাঠালে মোবাইলের ব্যাটারি চার্জ হবে।

(ওএস/অ/এপ্রিল ১০, ২০১৬)