আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর টনক নড়েছে প্রশাসনের। রবিবার প্রকাশিত সংবাদ দেখে সকালে আন্দোলনে উত্তাল বাহাদুরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করেছে একাডেমিক সুপারভাইজার প্রাণ কুমার ঘটক। তবে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের শান্ত করতে পারেননি তিনি।

এদিকে রবিবার সকালে শিক্ষক সংকটে ক্লাশ না হওয়ার প্রতিবাদে এবং ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক পুলিন মল্লিক, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি প্রভাত চন্দ্র হালদারের ঘুষ বাণিজ্য ও অনিয়মের বিচারের দাবিতে ক্লাশ বর্জন করে স্কুলের প্রতিটি কক্ষে তালা ঝুঁলিয়ে তৃতীয় দিনের মত গতকাল সকালে বিক্ষোভ মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা।

জানা গেছে, ওই বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক পুলিন মল্লিক ও সভাপতি প্রভাত চন্দ্র হালদারের ঘুষ বাণিজ্য ও অনিয়মের কারণে চারটি শূণ্যপদে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া যায়নি। ফলে গত তিন বছর থেকে শিক্ষার্থীদের সঠিক নিয়মে নিয়মিত ক্লাশ নিতে পারছেন না শিক্ষকেরা। একাধিকবার শিক্ষার্থীরা সঠিকভাবে ক্লাশ নেয়ার জন্য উল্লেখিতদের কাছে ধর্ণা দিয়েও কোন সুফল পায়নি। ফলে গত বৃহস্পতিবার থেকে আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা। ওইদিন শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করে।

শনিবার সকালে একই দাবিতে শিক্ষার্থীরা স্কুল ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করে পাঁচ শিক্ষককে লাইব্রেরী কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় তিন ঘন্টাপর অবরুদ্ধদের মুক্ত করা হয়। রবিবার সকালে পুনরায় শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করে স্কুলের প্রতিটি কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেয়। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের তিন দিনেও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক পুলিন মল্লিক অনুমোদিত কোন ছুটি না নিয়ে স্কুলে আসছেন না বলে জানান শিক্ষকেরা।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম একাডেমীক সুপারভাইজার প্রাণ কুমার ঘটকের বরাত দিয়ে বলেন, তিনি ঢাকা থাকায় ওই স্কুলে যেতে পারেননি। একাডেমীক সুপারভাইজার প্রাণ কুমার ঘটক ঘটনাস্থল থেকে ফিরে তাকে জানিয়েছেন যে, স্থানীয় কমিটির আভ্যন্তরীণ দ্বন্দ, সদ্য সমাপ্ত ইউপি নির্বাচনের জের ও নিয়োগে শিক্ষক-ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের অনৈতিক লেনদেনের কারণেই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। সোমবার শিক্ষা কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে যাবেন বলেও এ প্রতিনিধিকে জানান তিনি।

(টিবি/এএস/এপ্রিল ১০, ২০১৬)