আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : বরিশালের আগৈলঝাড়ায় হাত-পা বাধা বস্তাবন্দি অবস্থায় নিখোঁজের চার দিন পর লাশ উদ্ধার হওয়া চাঞ্চল্যকর শাহীন হত্যা মামলা অবশেষে ডিবিতে হস্তান্তর। প্রায় এক মাসেও পুলিশ ওই মামলার কোন ক্লু উদঘাটন করতে পারেনি।

থানা সূত্রে জানা গেছে, পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে চাঞ্চল্যকর ক্লু-লেস এই হত্যা মামলাটি শনিবার রাতে ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তরের চিঠি পেয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের এসআই শাহ জালাল।

এসআই শাহ জালাল জানান, ১৬মার্চ সন্ধ্যায় উপজেলার রত্নপুর ইউনিয়নের ছয়গ্রাম বন্দর সংলগ্ন খাল থেকে দুর্গন্ধযুক্ত প্লাষ্টিকের দুটি বস্তা ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হাত-পা বাধা বস্তাবন্দি অবস্থায় শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত ও ছুড়ি দিয়ে কোপানো অজ্ঞাত পরিচয় ব্যাক্তির লাশ উদ্ধার করে। ছয়গ্রাম এলাকার সুমন মৃধার স্ত্রী ও নিখোঁজ শাহীনের চাচাতো বোন নাজমা বেগম অজ্ঞাত ওই ব্যাক্তি তার চাচাতো ভাই শাহীনের (২৪) বলে শনাক্ত করেন।

সুত্র মতে, নিহত শাহীন গৌরনদী পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ পালরদী মহল্লার ফরহাদ হোসেন খানের বড় ছেলে। শহাীন স্থানীয় একটি কিণ্টার গার্ডেনের স্কুল ভ্যান চালাত। ১৩মার্চ সন্ধ্যার পর বন্ধুর বাড়িতে যাওয়ার জন্য নিজ বাড়ি থেকে বেড়িয়ে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয় শাহীন।

শাহীন নিখোজের ঘটনায় ১৫মার্চ রাতে তার বাবা ফরহাদ হোসেন গৌরনদী মডেল থানায় সাধারন ডায়েরী করেছিলেন। নিখোঁজের চার দিন পর খাল থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় শাহীনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পর দিন (১৭মার্চ) অজ্ঞাতনামাদের আসামী করে শাহীনের বাবা আগৈলঝাড়া থানায় মামলা করেন। নং-৭(১৭.৩.১৬)। তবে ক্লু-লেস ওই মামলায় পুলিশ আসামী সনাক্ত বা গ্রেফতারে সফল হতে পারেনি।

(টিবি/এএস/এপ্রিল ১০, ২০১৬)