বাগেরহাটে স্ত্রীকে হত্যায় স্বামীর মৃত্যুদন্ড
বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটের রামপালে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীকে মৃত্যুদন্ডদেশ দিয়েছে জেলা ও দয়রা জজ আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে আলোচিত এই হত্যা মামলার একমাত্র আসামী হাবিব সরদারের (৩৫) উপস্থিতিতে আদালতের বিচারক মো. মিজানুর রহমান খান এই রায় প্রদান করেন। ফাঁসির দন্ডাদেশ প্রাপ্ত আসামী হাবিব সরদার বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার গুনাই গ্রামের জহির সরদারের ছেলে।
আদালত সূত্র জানায়, পারিবারিক কলহের জের ধরে ২০১৪ সালের ২১ অক্টোরব সকালে আসামী হাবিব সরদার তার স্ত্রী হাসিনা বেগমকে (৩০) কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ বাড়ির পাশের চিংড়ি ঘেরে রেখে পালিয়ে যায়। পুলিশ ওই দিনই স্বামী হাবিবকে খুলনা থেকে আটক করে। এঘটনায় নিহতের বড় ভাই মো. শামসুল মোল্লা বাদী হয়ে তার ভগ্নিপতি মো. হাবিব সরদারকে আসামী করে রামপাল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে সে তার স্ত্রীকে হত্যা করার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। রামপাল থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক ঠাকুর দাস মন্ডল একই বছরের ৩১ ডিসেম্বর এক মাত্র আসামী হিসেবে স্বামী হাবিব সরদারের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। নিহত হাসিনা বেগম মংলার রপ্তানী প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (ইপিজেড) একটি সুপারী কারখানার শ্রমিক ছিলেন।
মামলাটির দীর্ঘ শুনানী শেষে আসামী হাবিব সরদারের বিরুদ্ধে স্ত্রী হাসিনা বেগমকে হত্যার অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় মঙ্গলবার দুপুরে বাগেরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মিজানুর রহমান খান আসামীর উপস্থিতিতে ফাঁসির দন্ডাদেশ ঘোষনা করে। সাজাপ্রাপ্ত হাবিব সরদার ও নিহত হাসিনা বেগমের সমাইয়া খাতুন নামের ১১ বছর বয়সী একটি মেয়ে রয়েছে।
(একে/এএস/এপ্রিল ১২, ২০১৬)