কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া-৩ আসনের সাংসদ মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেছেন, খালেদা জিয়া যদি জাতীয় ঐক্যের ডাক দেন, তার আগে খালেদা জিয়াকে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। উনি জাতির জনকের হত্যাকারীদের রাজনৈতিকভাবে আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়েছেন।

শুক্রবার সকালে কুষ্টিয়া মিলপাড়া ফুটবল মাঠে ২য় মেয়র কাপ হ্যান্ডবল টুর্নামেন্ট-২০১৬ এর ফাইনাল খেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগদানের আগে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।

এসময় তিনি বলেন, রাজনৈতিক আশ্রয় দিয়ে বিচার বন্ধের ব্যবস্থা করেছেন, তাদের পুরুস্কৃত করেছেন। এর জন্য তার মধ্যে অনুতাপ আছে কি না সেটাও জাতির জানার প্রয়োজন আছে। এ বিষয় তাকে খোলাসা করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, এই যে তথাকথিত ৯০ দিনে অবরোধের কর্মসূচির মাধ্যমে সাধারণ মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করল নিরীহ নিরাপরাধ মানুষকে। এ ব্যাপারে তার মধ্যে অনুসূচনা বোধ আছে কিনা, দুঃখবোধ আছে কি না, এ জন্য নিহত পরিবারের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছেন কিনা। এই গুলো করার পরে ওনি জাতীয় ঔক্যের কথা ভাবতে পারেন। এখনো তারা পাকিস্থানের আদর্শ ধারন করে, লালন করে তারা পাকিস্থানের ভাবধারায় দেশকে নিয়ে যেতে চায়। তার সাথে জাতীয় ঐক্যের কথা কার স্বার্থে পাকিস্থানের স্বার্থে?

আমরা এদেশের জনগণ ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে তাদের জীবনের বিনিময়ে দেশকে স্বাধীন করেছিলাম। আমরা এ দেশকে ব্যার্থ রাষ্ট্র পরিণত করার জন্য নয়, যাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছিলাম, সেই পাকিস্তানের তাবেদারী রাষ্ট্রে পরিণত করতে আমরা দেশ স্বাধীন করিনি। খালেদা জিয়া এ সমস্ত মূল ইস্যুগুলোকে পরিস্কার করুক, তার কৃতকর্মের জন্য জাতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুক তার পর উনি জাতীয় ঐক্যের কথা ভাবতে পারেন, বলতে পারেন। তার আগে খালেদা জিয়ার মুখে এ কথা মানায় না।

তিনি আরো বলেন, স্থানীয় পর্যায়ে নির্বাচন নিয়ে দুই একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে, সহিংসতা ঘটেছে এটার জন্য দুঃখিত। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ জনগণের ভোটাধিকারে বিশ্বাসী, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কখনো চায় না জনগণের ভোটাধিকার নিয়ে এ ধরনের কোন সহিংসতা ঘটুক। বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিলেন সে সময় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সহিংসতায় ২শ জন মারা গিয়েছিল সেটাও জনগণ ভুলে নাই। এ ধরনের মিথ্যা বক্তব্য দেওয়ার আগে আয়নায় নিজের চেহারা দেখার পরামর্শ দিয়েছেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, কুষ্টিয়া পৌর মেয়র আনোয়ার আলী, প্যানেল মেয়ার মতিউর রহমান মজনুসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এর পরে তিনি দিনব্যাপী মিরপুর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে পথসভা ও হালসায় এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখবেন বলে জানা গেছে।

(কেকে/এএস/এপ্রিল ১৫, ২০১৬)