স্টাফ রিপোর্টার : সাংবাদিক ও উপস্থাপক শফিক রেহমানের সঙ্গে দেখা করতে পারেননি স্ত্রী তালেয়া রেহমান।

শনিবার সকালে সাড়ে ১১টার দিকে শফিক রেহমানের সঙ্গে দেখা করার জন্য ডিবি অফিসে গেলও প্রায় আধা ঘন্টাব্যাপি অপেক্ষা করার পরও দেখা পাননি স্বামীর। তবে সাথে নিয়ে আসা খাবার ও ওষুধপত্র পৌঁছে দেয়া হয় শফিক রেহমানের কাছে।

শনিবার ১২টা ২৫ মিনিটের দিকে ডিবি অফিস থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান তালেয়া রেহমান।

তিনি বলেন, ‘সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শফিক রেহমানকে আটক করে নিয়ে যাওয়ার পর ডিবি অফিস থেকে ওষুধ ও সকালের নাস্তা চেয়ে ফোন করা হয়। এরপরই আমি সকাল ১১টা ২৪ মিনিটে ১৫ ইস্কাটনের বাসা থেকে মিন্টো রোডের ডিবি অফিসে রওয়ানা হই।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমাকে ডিবি অফিসের ওয়েটিং রুমে বসিয়ে ওষুধ ও খাবার ভেতরে দিয়ে যাওয়া হয়। এরপর ডিবি অফিস থেকে জানানো হয়, “আপনারা দেখা করতে পারবেন না। আপনারা চলে যান। পরে আপনাদের ডাকা হবে।’

এর আগে ‘মৌচাকে ঢিল’ এর সহ-সম্পাদক সজীব ও-নাসিম বলেন, সকাল সাড়ে ৮টায় ডিবি পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর ম্যাডাম (শফিক রেহমানের স্ত্রী) আসতে বলেন। দেড় ঘণ্টা পর্যন্ত থানা, ডিবি পুলিশ কিংবা র্যাব সবাই গ্রেফতারের বিষয়টি অস্বীকার করে। পরে সকাল ১০টার দিকে ফোন করে জানানো হয় শফিক রেহমান ডিবি পুলিশের অফিসে। তার জন্য সকালের নাস্তা ও ওষুধ নিয়ে আসতে বলা হয়।

তারা আরো বলেন, ম্যাডাম (শফিক রেহমানের স্ত্রী) নিজেও অসুস্থ। শফিক রেহমানও অসুস্থ। তার কোলস্টেরল বেশি। এছাড়া ডায়াবেটিসও রয়েছে।

উল্লেখ্য, প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে ঢাকা মহানগর পুলিশ জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে যুক্তরাষ্ট্রে অপহরণ করে হত্যা পরিকল্পনার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় এ জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও উপস্থাপককে গ্রেফতার করা হয়।

বর্তমানে তাকে রাজধানীর মিন্টু রোডের গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। দুপুর ২টার দিকে তাকে আদালতে নিয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে।

২০১৫ সালে পল্টন থানায় দায়ের করা জয়কে অপহরণের পরিকল্পনার একটি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি তিনি। সেই মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে ডিবির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।

(ওএস/এএস/এপ্রিল ১৬, ২০১৬)