স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী রাজধানীর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে বলেছেন, সাংবাদিক শফিক রেহমান ও গাজীপুরের মেয়রকে মুক্তি না দিলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।

রিজভী বলেন, সরকার নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে শফিক রেহমানকে গ্রেফতার করেছে। তিনি অভিযোগ করেন, যাঁরা সরকারের অপকর্ম, অপশাসনের খবর লেখেন, তাঁরাও আজ নিরাপদ নন। শফিক রেহমানকে গ্রেফতার করা সরকারের চৈতন্যলোপের শামিল।

শফিক রহমানকে গ্রেফতারের নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে তাঁর বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার ও তাঁকে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানান রিজভী।

এদিকে সাংবাদিক শফিক রেহমানকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ শনিবার সকালে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ঠাকুরগাঁও পৌরসভার গোয়ালপাড়া এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি এ আহ্বান জানান।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজ সকাল আটটার দিকে শফিক রেহমানকে গোয়েন্দা পুলিশের লোকজন সাদাপোশাকে তুলে নিয়ে গেছে। এ ঘটনায় আমরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন, চিন্তিত। এ ঘটনা থেকে এটাই প্রমাণিত যে এ দেশে কথা বলার স্বাধীনতা নেই, লেখার স্বাধীনতা নেই। শফিক রেহমান আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সাংবাদিক, তাঁর বিরুদ্ধে কোনো মামলাও নেই। তাঁকে এভাবে সাদাপোশাকের পুলিশ দিয়ে তুলে নিয়ে যাওয়ায় প্রমাণ হয় যে এ দেশে গণতন্ত্র নেই। অবিলম্বে তাঁকে মুক্ত করার আহ্বান জানাচ্ছি। পাশাপাশি বাক্‌স্বাধীনতা ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতাকে নিশ্চিত করার আহ্বান জানাচ্ছি।’

উল্লেখ্য, সাংবাদিক শফিক রেহমানকে রাজধানীর ইস্কাটনের নিজ বাসা থেকে আজ শনিবার সকালে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। ২০১৫ সালে করা একটি মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

মামলার তদন্ত তদারক কর্মকর্তা ডিবির উপকমিশনার মো. মাশরুকুর রহমান খালেদ জানান, ২০১৫ সালের আগস্টে পল্টন থানায় করা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যা পরিকল্পনা মামলার তদন্ত করছে ডিবি। এতে শফিক রেহমানের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। এ কারণে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এর আগে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মারুফ হোসেন সরদার জানান, রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় শফিক রেহমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এদিকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র এম এ মান্নানকে গতকাল শুক্রবার বিকেলে কালিয়াকৈর উপজেলার ভান্নারা এলাকা থেকে ডিবি গ্রেফতার করে।

জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার রেজাউল হাসান বলেন, চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় ঘটা সহিংসতার একটি মামলায় মেয়র মান্নানকে বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

(ওএস/এএস/এপ্রিল ১৬, ২০১৬)