বান্দরবান প্রতিনিধি : জনসংহতি সমিতির সশস্ত্র ক্যাডারদের হুমকির প্রেক্ষিতে আগামী ২৩ এপ্রিল তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচন নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে জেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দরা।

জেলা আওয়ামীলীগের নেতারা বলেছেন, বান্দরবানের ৩৩টি ইউনিয়নের মধ্যে ২৫টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই ২৫টি ইউনিয়নের মধ্যে ২০টি ইউনিয়নে জনসংহতি সমিতি প্রভাব বিস্তার করে ভোটার ও প্রার্থীদের হুমকি ধমকি দিচ্ছে। ইতিমধ্যে বিষয়টি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনকে জানানো হয়েছে কিন্তু তার কোন ফলাফল লক্ষ্য করা যায়নি। ফলে সন্ত্রাসীরা আরো ব্যপরোয়া হয়ে উঠেছে। নির্বাচন বাকি আরমাত্র ২দিন। তাই ৪৮ ঘন্টার মধ্যে সেনা বাহিনী মোতায়েন করে হোক বা স্পেশাল কোন বাহিনী দিয়ে সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে।

অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারলে নির্বাচন অবাদ, সুষ্ঠু ও গ্রহনযোগ্য হবে না। তাই অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের মাধ্যমে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। এ ব্যাপারে বক্তারা সরকারের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেছেন। অন্যথায় সকল ইউনিয়ন থেকে আওয়ামীলীগ প্রার্থীরা নির্বাচন থেকে সরে দাড়াবে বলে হুশিয়ারী দিয়েছেন। বুধবার দুপুর ২টায় বান্দরবান জেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে নেতারা এসব কথা বলেন ।

সাংবাদিক সম্মেলনে নোয়াপতং ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ প্রার্থী চনুমং মারমা বলেন, জনসংহতি সমিতির নাম ব্যবহার করে একদল সশস্ত্র যুবক নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করে চলেছে। তারা তার একজন কর্মীকে ধরে নিয়ে গিয়েছিল পরে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। সন্ত্রাসীদের প্রতিনিয়ত হুমকিতে তারা প্রচারনা চালাতে পারছেনা। এ বিষয়ে গত রবিবার নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ দিয়েছেন। কিন্তু নির্বাচন ঘনিয়ে আসলেও কোন কাজ হয়নি। নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই তার উৎকন্ঠা বাড়ছে এবং নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন। এ বিষয়ে তিনি সরকার ও নির্বাচন কমিশনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

রাজবিলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী ক্য অং প্রু মারমা জানান, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা বহিরাগত। তারা বান্দরবান জেলার পরিচিত মুখ নয়। জনসংহতি সমিতির প্রার্থীদের বিজয়ী করে নেয়ার জন্য অবৈধভাবে প্রভাব বিস্তার করছে। একটি পাড়ায় ২৫৮ ভোটার রয়েছে, তারা ঐ পাড়ায় গিয়ে অস্ত্র দেখিয়ে তাদের প্রার্থীকে ২শ ভোট দেয়ার জন্য হুমকি দেয়। অন্যথায় পুরো পাড়ার অবস্থা খারাপ করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে যায়। এ অবস্থায় পাহাড়ের প্রতিটি ঘরের নাগরিকরা অনিশ্চিত নিরাপত্তার মধ্যে রয়েছে।

সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি শফিকুর রহমান। সহ-সভাপতি আব্দুর রহিম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ইসলাম বেবী, যুগ্ম সম্পাদক লক্ষিপদ দাস, রাজবিলা ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী ক্যঅং প্রু মারমা ও নেয়াপতং ইউপি চেয়ারম্যান চনুমং মারমা প্রমুখ ।

(এএফবি/এএস/এপ্রিল ২০, ২০১৬)