নিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ফেসবুক ব্যবহারকারীর তথ্য চেয়ে করা অনুরোধে প্রথমবারের মতো সাড়া দিয়েছে ফেসবুক। ২০১৫ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত তথ্য নিয়ে ২৮ এপ্রিল ফেসবুকের প্রকাশিত ‘গভর্নমেন্ট রিকোয়েস্ট রিপোর্ট’-এ বলা হয়, বাংলাদেশ থেকে ওই সময় ১২টি অনুরোধে ৩১টি অ্যাকাউন্টের তথ্য চাওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি) চারটি কনটেন্ট সরিয়ে ফেলার অনুরোধ করে। ফেসবুক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বাংলাদেশের অনুরোধে সাড়া দিয়েছে তারা। অনুরোধে সাড়া দেওয়া হার ১৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ। এ ছাড়া চারটি কনটেন্ট সরিয়ে ফেলা হয়েছে।

এর আগে ২০১৫ সালের ১২ নভেম্বর ফেসবুক প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, ওই বছরের জানুয়ারি থেকে জুন এই ছয় মাসে ফেসবুকের কাছে তিনটি অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে তথ্য চেয়েছিল বাংলাদেশ সরকার। তিনবার অনুরোধের মাধ্যমে এই তিনজনের তথ্য জানতে চাওয়া হয়। তবে সরকারের ওই অনুরোধে ফেসবুক সাড়া দেয়নি। এর আগে ২০১৪ সালের শেষ ছয় মাসে পাঁচটি অনুরোধের মাধ্যমে পাঁচজনের অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে তথ্য জানতে চেয়েছিল সরকার। ওই বছরের প্রথম ছয় মাসে ফেসবুকের কাছে ১৭টি অ্যাকাউন্টের তথ্য চেয়েছিল বাংলাদেশ সরকার। মোট সাতটি অনুরোধের মাধ্যমে এই তথ্য চাওয়া হয়েছিল। ২০১৩ সালের আগস্টে ১২ জনের তথ্য চাওয়া হয়েছিল।

২০১৫ সালের প্রথম ছয় মাস পর্যন্ত বাংলাদেশের কোনো অনুরোধে সাড়া না দিলেও এবারই প্রথম বাংলাদেশ সরকারের কোনো অনুরোধে সাড়া দিয়েছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।

ফেসবুক প্রতি ছয় মাস অন্তর এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে কোন দেশের সরকার ফেসবুকের কাছে কী অনুরোধ জানায়, তা তুলে ধরা হয়। তবে কোন অ্যাকাউন্টের তথ্য চাওয়া হয়, তা উল্লেখ করা হয় না।

এদিকে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, ২০১৫ সালের শেষ ছয় মাসে সরকারের পক্ষ থেকে ফেসবুকের কাছে তথ্য চাওয়া হার ১৩ শতাংশ বেড়েছে। এ তালিকায় শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত।

২০১৪ সালের তুলনায় ২০১৫ সালের প্রথমার্ধে সরকারের কাছ থেকে তথ্য চাওয়ার হার ১৮ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছিল। ২০১৪ সালের দ্বিতীয়ার্ধে ৩৫ হাজার ৫১টি অনুরোধ পেলেও ২০১৫ সালের শুরুতে তা বেড়ে ৪১ হাজার ২১৪টিতে পৌঁছে। এবার তা বেড়ে ৪৬ হাজার ৭৬৩টিতে পৌঁছেছে। বর্তমানে ১৬৫ কোটি মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করছে। অর্থাৎ, বিশ্বের প্রতি চারজনে একজন ফেসবুক ব্যবহার করছে।

ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে যে অনুরোধ এসেছে, এর ৬০ শতাংশই ব্যবহারকারীর কাছে না জানানোর অনুরোধ ছিল।

(ওএস/এএস/এপ্রিল ২৯, ২০১৬)