নিউজ ডেস্ক : আজ ০৩ মে, মঙ্গলবার শহীদ জননী জাহানারা ইমামের ৮৮তম জন্মদিন। ১৯২৯ সালের এই দিনে অবিভক্ত বাংলার মুর্শিদাবাদ জেলার সুন্দরপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন জাহানারা ইমাম। মুক্তিযোদ্ধার গবির্ত মা, বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও সংগঠক এই মহায়সী নারীর নেতৃত্বেই গত শতকের নব্বইয়ের দশকে গড়ে ওঠে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আন্দোলন।

একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ব্যানারে করা সেই আন্দোলনই আজ এগিয়ে যাচ্ছে চূড়ান্ত পরিণতির দিকে। চলছে মানবতাবিরোধী হিসেবে আখ্যায়িত যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কাজ। ইতোমধ্যে এই ঘৃণ্য অপরাধীদের অনেকেরই ফাঁসির দণ্ড কার্যকর হয়েছে।

জাহানারা ইমামের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আজ বিকেল ৪টায় জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে আলোচনাসভার আয়োজন করেছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি। ‘পাকিস্তানী যুদ্ধাপরাধী ও জামায়াতের বিচারে বাধা কোথায়’ শীর্ষক বিষয়ে মূল প্রবন্ধ পাঠ করবেন নির্মূল কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি লেখক ও সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির। নির্মূল কমিটির উপদেষ্টা কামাল লোহানীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি থাকবেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। আলোচনায় অংশ নেবেন ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল, অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, শহীদ জায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী প্রমুখ।

স্বাধীনতা যুদ্ধে জাহানারা ইমামের ছেলে শাফী ইমাম রুমী শহীদ হন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে স্বামী শরীফ ইমামও মারা যান। ৭১ সালে স্বামী আর সন্তান হারানো জননী স্বাধীনতা উত্তর এদেশের মুক্তিকামী মানুষের অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী এবং সাম্প্রদায়িক শক্তির উত্থানের পক্ষে তিনি ছিলেন প্রথম কাতারের সৈনিক। আমাদের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে তার উপন্যাস বা দিনলিপি যাই বলিনা কেন, একাত্তরের দিনগুলি ছিলো একজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধার মায়ের দৃঢ়তা আর আত্মত্যাগের অনন্য উদাহরণ।

(ওএস/এএস/মে ০৩, ২০১৬)