বাকৃবি প্রতিনিধি : মাছ আরোহণের পাশাপাশি হাওড়ের প্রায় ৮৬ শতাংশ আবাদি জমিতে বোরো ধানের চাষ করা হয়। যা থেকে দেশের মোট উৎপাদিত বোরো ধানের  প্রায় শতকরা ১০ ভাগ আসে। শীতকালে পানির প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা গেলে এ উৎপাদন আরো বাড়বে। মঙ্গলবার বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) দি ফেডারেশন অফ বাংলাদেশ চেম্বার্স অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি (এফবিসিসিআই) আয়োজিত এক সেমিনারে এসব কথা বলেন বক্তারা।

তারা আরো জানান, হাওড়ে প্রায় ৩৫-৪০ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে। ধান চাষ ছাড়াও হাওড় অঞ্চলে মিষ্টি আলু, বাঁধা কপি, টমেটো, রবিশস্য, শাক-সব্জি চাষ, হাঁস-মুরগী, গবাদি পশুপালন করে জীবনমানের উন্নয়ন সম্ভব। এছাড়াও হাওড় অঞ্চলের আরো উন্নয়নকল্পে একটি বাড়ি-একটি খামার প্রকল্প বাস্তবায়ন, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, গ্রামীন জনগোষ্ঠীর একত্রীকরণ ও প্রশিক্ষণ, প্রাকৃতিক সম্পদের প্রাপ্যতা ও নিয়ন্ত্রণ, হঠাৎ বন্যা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষয়-ক্ষতি হ্রাসে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগ নিতে হবে। এসময় জলমহাল নীতির সঠিক বাস্তবায়নের উপরও জোর দেন বক্তারা।

জানা যায়, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে ‘ময়মনসিংহের হাওড় এলাকায় কৃষি উন্নয়নে চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনার বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম সম্মেলন ভবনে অনুষ্ঠিত হয়। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আলী আকবর। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কৃষিতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সুলতান উদ্দিন ভূঞা।

এছাড়া আরও বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ড. মো. আলতাফ হোসেন, অধ্যাপক ড. মো. জসিমউদ্দিন খান, অধ্যাপক ড. মো. ফজলুল আউয়াল মোল্লাহ্, এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক মো. মাসুদ, ময়মনসিংহ চেম্বারের সহ-সভাপতি এস.এম. বজলুর রহমান। সেমিনারটি সভাপতিত্ব করেন এফবিসিসিআইয়ের মহাসচিব মীর শাহাবুদ্দিন মোহাম্মদ।

(এমএসএস/এএস/মে ১০, ২০১৬)