বাগেরহাট প্রতিনিধি : সরকার সুন্দরবনের অদূরেই দুটি কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহন করে পরিকল্পিতভাবে এই বনকে ধ্বংসের খেলায় মেতে উঠেছে। সরকারের কাছে ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ সাইড সুন্দরবনের কোন গুরুত্ব না থাকায় তাদের প্রশ্রয়ে লুটেরাদের একের পর এক নাশকতার আগুনে পুড়ছে।

সুন্দরবনের বিলে অবৈধ্য ভাবে মাছ আহরণের নামে শাসকদলের আগুন সন্ত্রাসী ও তাদের গডফাদারদের গ্রেপ্তারে পুলিশ সেজন্য কোন পদক্ষেপই গ্রহন করছে না। অন্যদিকে সুন্দরবন বাঁচানোর নামে প্রকল্প গ্রহন করে দেশী-বিদেশী চক্র অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। তাই সুন্দরবন সন্নিহিত ৪ কোটি মানষ বাঁচাতে সুন্দরবন ধ্বংসকারী সরকারের এসব সিদ্ধান্ত প্রতিহত করতে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে।

শুক্রবার বিকালে বাগেরহাট প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তেল গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব ড. আনু মোহাম্মাদ এ কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, সারাদেশের সচেতন মানুষের পাশাপাশি সুন্দরবন রক্ষার আন্দোলনে এই বন সন্নিহিত এলাকার জনসাধারণকেই এগিয়ে আসতে হবে। অচিরেই সারাদেশ থেকে সুন্দরবন ধ্বংসের সিদ্ধান্তের সুতিকাগার ঢাকা ঘেরাও কর্মসূচীর তারিখ ঘোষণা করা হবে। প্রয়োজনে বাগেরহাটের রামপালেও লাগাতার অবস্থান কর্মসূচী দেয়া হবে।

এরপর বিকাল ৫টায় বাগেরহাট প্রেসক্লাবে সুন্দরবন সন্নিহিত ৬ জেলা বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা, পিরোজপুর, বরিশাল ও যশোরের তেল গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা কমিটির প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন তেল গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতিয় কমিটির সদস্য সচিব ড. আনু মোহাম্মাদ।

সুন্দরবন রক্ষায় আন্দোলনের কর্মসূচী এই সভায় নেতারা খোলামেলা বক্তব্য রাখেন। তেল গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা কমিটির বাগেরহাটের আহবায়ক রণজিৎ চট্টেপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন কেন্দীয় নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স, আজিজুল হক, সাইফুল হক, প্রকৌশলী কল্লোল মোস্তফা, ডা. মনোজ দাস. ফররুখ হাসান জুয়েল প্রমুখ।

(একে/এএস/মে ১৩, ২০১৬)