বাগেরহাট প্রতিনিধি : প্রবল বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ার মধ্যে শনিবার দুপুরে সুন্দরবন ও বাগেরহাট উপকূল অতিক্রম করেছে ঘুর্ণিঝড় রোয়ানু। জোয়ারের সময় ঘূর্ণিঝড়টি অতিক্রম করায় সুন্দরবনসহ বাগেরহাটের নদ-নদী স্বাভাবিকের চেয়ে চার- পাঁচ ফুট জলোচ্ছ্বাসো পানিতে তলিয়ে যায়।

শরণখোলার বলেশ্বর নদীর প্রবল ঢেউ এবং জলোচ্ছ্বাসে উপজেলার ৩৫/১ পোল্ডারের বেড়ি বাধের সাউথখালী ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি অংশে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। বেড়ি বাধের বাইরে সববাসকারী খোন্তাকাটা, রায়েন্দা ও সাউখালী ইউনিয়নের প্রায় ৩ তিন হাজার বাড়িঘর পানিতে প্লাবিত হয়েছে।

শুক্রবার রাত ও শনিবার সকালে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রচারনা চালানোর ফলে শরণখোলা ও মংলার বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে ১৫ হাজারের অধিক মানুষকে সরিয়ে নেয়া হয়। বন্ধ রাখা হয় মংলা বন্দরের পন্য ওঠানামার কাজ। ঘুর্ণিঝড় রোয়ানুর কারনে সুন্দরবনের তেমন কোন ক্ষতি হয়নি।

বাগেরহাটে কোন প্রাণহানী বা ব্যাপক কোন ক্ষয়ক্ষতিও হয়নি বলে নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক মো. জাহাংগীর আলম। শরনখোলার সাউথখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোজাম্মেল হোসেন জানান, তার ইউনিয়নের উত্তর সাউথখালী ও বগী এলাকার বেড়িবাধের তিনটি পয়েন্টে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। যেকোনো সময় তা সম্পূর্ণ বিলীন হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। বেড়ি বাধের বাইরে বসবাসকারী এসব এলাকার সব মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

(একে/এএস/মে ২১, ২০১৬)