আল ফয়সাল বিকাশ, বান্দরবান :বান্দরবানের থানছি উপজেলার ৪ ইউনিয়নে জুমিয়া পরিবার গুলোতে খাদ্যাভাব দেখা দেয়ায় জেলা প্রশাসনের ত্রাণ শাখা থেকে দুর্গত এলাকায় আরো ৩০ মেঃটন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এ উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এক জরুরী সংবাদ সম্মেলন জেলা প্রশাসক সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।

বিকেলে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বনিক। অন্যান্যের মধ্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আবু জাফরসহ সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বনিক বলেন, থানছিতে খাদ্য সংকট দেখা দেয়ার শুরু থেকে প্রশাসন বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। সংকট মোকাবেলায় প্রথম ধাপে ১৬ এবং ২য় ধাপে ৩০ মেঃটন চাল বরাদ্দ করা হয়েছে। এই বরাদ্দ দিয়ে প্রায় ২৩০০ পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেয়া হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, যেসব এলাকা অত্যন্ত দুর্গম ও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন সেসব এলাকায় প্রযোজনে হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হবে। তিনি আরো জানান, সংকট মোকাবেলা করার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ খাদ্যশষ্য মওজুদ রয়েছে।

খাদ্য বিভাগের তথ্যানুয়াযী গুদামে বর্তমানে ২৪৬ মেঃটন চাল মওজুদ রয়েছে। যা যে কোন ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে সক্ষম।

সুত্র জানায়, রেমাক্রী ইউনিয়নের দলিয়ান পাড়া, দুলু পাড়া, খমচং পাড়া, ঞোচিং অং পাড়া, চাইহ্লা উ, ইংনং পাড়া, বাসিঅং পাড়া, যোগিরাম পাড়া, লিক্রে এবং তিন্দু ইউনিয়নের ঙা ক্ষ্য, জিহ্না পাড়া, পদ্ম আগা এলাকা গুলোতে বেশী সংকট। ঐএলাকা গুলো ইউনিয়ন সদর থেকে অতিদুর্গম হওয়ায় খাদ্য পৌছানো কঠিন। তাই ভুক্তভুগিরা বিজিবি’র মাধ্যমে হলেও খাদ্য পৌছানোর দাবি জানান।

অপরদিকে পার্বত্য বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি তার বাসভবনে সাংবাদিকদের বলেছেন, দুর্যোগ মোকাবেলায় সরকারি ভাবে ব্যাপক খাদ্যশষ্য মওজুদ রয়েছে। ইতিমধ্যে দুর্গত এলাকায় খাদ্যশষ্য পৌঁছে দেয়া হয়েছে। অভাবগ্রস্ত প্রতিটি পরিবারের ঘরে ঘরে খাদ্য শষ্য বরাদ্দ দেয়া হবে। যতমাস খাদ্য অভাব থাকবে ততমাস সরকারিভাবে অভাবগ্রস্তদের খাদ্যের ব্যবস্থা করবে। তিনি আরো বলেন, ঐসব এলাকায় কোন ধরনের কর্মসংস্থানের সুযোগ না থাকায় জনগণকে জুমের উপর নির্ভরশীল হয়ে থাকতে হয়। জুমে ধান না হলেই সংকট দেখা দেয়। এই সংকট উত্তোরণে স্থায়ী ভাবে সমাধান করার চেষ্টা চলছে। দুর্গত এলাকায় অভাবগ্রস্তদের ধর্য্যধারণ করার আহবান জানান।

(এএফবি/এস/মে২৬,২০১৬)