সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করে বইয়ের বাজার সৃষ্টি করতে অভিনব প্রতারনার আশ্রয় নিয়েছে জনৈক আদিল প্রকাশনী। ঢাকার আদিল ব্রাদার্স কর্তৃক বইটি প্রকাশিত হয়েছে। বইটির রচনা অংশে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসামান্য অবদানকে অস্বীকার করার অভিযোগ রয়েছে। প্রায় তিন মাস অতিবাহিত হলেও এব্যাপারে জেলা শিক্ষা অফিস বা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তেমন কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।

এদিকে, বইটি বাজারজাত বন্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। আবেদকারীদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী ব্যক্তিবর্গ ও কয়েকজন বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধাও রয়েছেন। তাদের দাবি বঙ্গবন্ধুর অসামান্য আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা। সেই বঙ্গবন্ধুর অবমাননা কোনভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।

অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার জনৈক আদিল ব্রাদার্স নামক একটি কোম্পানির দ্বিতীয় শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত গাইড বই বাজারে এসেছে। বইটি রচনা করেছেন জনৈক নাজনিন আকতার। বইটির ৪৭৮,৪৮১, ৪৭৯, ও ৪৮২ পৃষ্টায় স্বাধীনতা শীর্ষক রচনায় স্বাধীনতার স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম উল্লেখ না করে সুকৌশলে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা সংগ্রামের বিষয়ে ভুল তথ্য দিয়ে নতুন প্রজন্মকে পড়ানো হচ্ছে। এছাড়া বইটির ৪৫১, ৪৫২, ৪৫৩, ৪৫৫ ও ৪৫৬ পৃষ্টায় অনুরূপ মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীণতা সংগ্রামের বিষয়ে ভুলতথ্য দিয়ে নতুন প্রজন্মকে পড়ানো হচ্ছে। তারপরও এ বাংলা ব্যাকরণ বই সাতক্ষীরা জেলায় বিশেষ করে সাতক্ষীরা সদর ও আশাশুনিসহ বিভিন্ন উপজেলার স্কুলে পাঠ্য করানো হয়েছে। এমন একটি বিকৃত গল্প লেখা হয়েছে। এই গল্প বা রচনা ছোট ছোট সোনামণিদের মেধার বিকৃতি ঘটাতে পারে বলে তারা মনে করেন।

যা সাতক্ষীরায় বাজারজাত করছেন পপুলার লাইব্রেরীর স্বত্বাধিকারী ছফিউল্লাহ ভূঁইয়া। এব্যাপারে ছফিউল্লাহ ভূঁইয়া বলেন, এটা কোন সমস্যা না। এখানে কারোর নামই তো দেওয়া হয়নি। এছাড়া বইটি ঢাকা থেকে প্রকাশ হয়েছে। আপনারা তাদের সাথে যোগাযোগ করুন। তাছাড়া কোম্পানির মালিক গোপাল গঞ্জের বাসিন্দা। তিনি বুঝে শুনেই এটি প্রকাশ করেছেন।
এব্যাপারে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দীন বলেন, এবিষয়ে পাওয়া লিখিত অভিযোগ সম্পর্কে আগামি রোববার পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

(আরএনকে/এস/মে২৭,২০১৬)