সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : মোবাইল থেকে টাকা বের করে দেওয়ার নাম করে ৫ম শ্রেণীর এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার একটি গ্রামে এ ঘটে।  রক্তাক্ত ওই স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ক্ষুব্ধ জনতা ধর্ষককে গণধোলাই দিয়ে শনিবার সকালে পুলিশে সোপর্দ করেছে।

ধর্ষকের নাম সামছুর রহমান খোকন (৩৮)। সে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আলীপুর ইউনিয়নের একটি গ্রামের মুনছুর আলী সরদারের ছেলে।

ধর্ষিতার মা জানান, স্বামী মারা যাওয়ার পর একমাত্র মেয়েকে নিয়ে দিন মজুর খেটে সংসার নির্বাহ করেন। তার মেয়ে স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী। প্রতিদিনের ন্যয় তিনি শুক্রবার সকালে দিন মজুর হিসেবে পার্শ্ববর্তী একটি মাঠে পাট খেতের আগাছা পরিষ্কার করতে যান। দুপুর ১২টার দিকে মোবাইলে আসা টাকা বের করে দেওয়ার কথা বলে তার মেয়েকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায় প্রতিবেশি সামছুর রহমান খোকন।

এ সময় স্ত্রী ও মেয়ে বাড়িতে না থাকার সুযোগে সামছুর রহমান তার মেয়েকে ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। রক্তাক্ত অবস্থায় মেয়েটি বাড়ি চলে আসতে চাইলে তাকে বিষয়টি গোপন রাখতে বলা হয়। নয়লে তার মাকেও হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। এক পর্যায়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় যন্ত্রণাকাতর মেয়েটির ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত হন তিনি। রাত ৯টার দিকে তিনি স্থানীয় সমাজসেবক ও আওয়ামী লীগ নেতা ডাঃ মশিউর রহমান ময়ুরের কাছে মেয়েটিকে নিয়ে যান। তিনি পরদিন শনিবার সকালে ধর্ষককে ডাকিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।

ধর্ষিতার মা আরো জানান, বিষয়টি প্রকাশ হয়ে গেছে এমন খবর পেয়ে ধর্ষক সামছুর রহমান তাকে শনিবার সকালে বাড়িতে এসে হুমকি দেয়। কোন উপায় না দেখে তিনি চিৎকার করলে স্থানীয় লোকজন সামছুরকে আটক করে গণধোলাইয়ের পর পুলিশে সোপর্দ করে।

সাতক্ষীরা সদর থানার উপপরিদর্শক মোঃ নজরুল ইসলাম ধর্ষণের ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ধর্ষক সামছুরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় ধর্ষিতার মা বাদি হয়ে শনিবার সকালে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। ধর্ষিতার ডাক্তারি পরীক্ষা ও ২২ ধারায় জবানবন্দির জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল ও আদালতে পাঠানো হয়েছে।

(আরকে/এএস/মে ২৮, ২০১৬)