বান্দরবান প্রতিনিধি : বান্দরবানের থানচি উপজেলার দুর্গম এলাকায় সংকটাপন্ন পরিবারগুলোতে খাদ্য সংকট নিরসনে চাল বিতরণ শুরু হয়েছে। সোমবার স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে দুর্গত পরিবারগুলোর তালিকা তৈরি করে খাদ্যশস্য বিতরণ করা হয়।

এর আগে রবিবার প্রশাসনের পক্ষ থেকে জরুরি ভিত্তিতে ওই দুর্গম এলাকাগুলোতে খাদ্যশস্য পাঠানো হয়েছে বলে বান্দরবান জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে। সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে থানচির চারটি ইউনিয়নে প্রায় নয় মেট্রিকটন খাদ্যশস্য পাঠানো হয়।

জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক জানান, রবিবার সকাল থেকে হেলিকপ্টারযোগে ১০ মেট্রিক টন চাল এসব দুর্গম এলাকায় পাঠানো হয়েছে। আপৎকালীন মজুদ হিসেবে বর্তমানে জেলা প্রশাসনের হাতে ২০০ মেট্রিক টন চাল মজুদ রয়েছে। এছাড়া নতুন বরাদ্দসহ থানচি এলাকার জন্য মোট ৩৪৬ মেট্রিক টন খাদ্য সাহায্য পাওয়া গেছে বলেও তিনি জানান।

থানচি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন বলেন, ‘এসব চাল ৩৬০ পরিবারের মধ্যে প্রতি পরিবারে ২০ কেজি করে বিতরণ করা হবে। আর বরাদ্দের বাদবাকি চাল সোমবার নৌকায় করে নিয়ে মঙ্গলবার থেকে বিতরণ করা হবে।’

প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গত বছর বৈরি আবহাওয়ার কারণে জুমের ফলন ভালো হয়নি। এ কারণে চলতি বছরের মার্চ মাস থেকে দুর্গম এই এলাকার পাহাড়ি জনগোষ্ঠী খাদ্য সংকটে পড়েন। থানচির রেমাক্রী, তিন্দু, সদর ও বলিপাড়া ইউনিয়নের দুর্গমাঞ্চল জিন্নাপাড়া, বাকলাইপাড়া, দলিয়ানপাড়া, বড়মদক ভিতরপাড়া, হৈয়োক খুমীপাড়া, যোগীচন্দ্রপাড়া, দুলুপাড়া, রেমচংপাড়াসহ আশপাশের পাহাড়ি গ্রামগুলোতে ভাতের চালের সংকট দেখা দিয়েছে।

উপজেলা চেয়ারম্যান জানান, আগামী জুম ফসল ঘরে ওঠার আগ পর্যন্ত ৭-৮ মাস এই পরিবারগুলোকে খাদ্য সহায়তা দিতে হবে, কারণ, জুম ছাড়া তাদের খাবার সংগ্রহের আর কোনো উপায় নেই। তাই তাদের জন্য প্যাকেজের আওতায় সরকারের পক্ষ থেকে এই সময়ে নিয়মিত খাদ্য সরবরাহের ব্যবস্থা করা জরুরি।

(ওএস/এএস/মে ৩০, ২০১৬)