সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : ‘পশ্চিম মৌতলা আর নামাজগড় গ্রামে থাম্বা গেছে ,বিদ্যুত যায়নি ’ এ কথা জানাতে এমপি এসএম জগলুল হায়দারের সাথে কথা বলতে গিয়েছিলাম কয়েকদিন আগে । সাথে ৬০ - ৬৫ জন গ্রামবাসী। সেখানে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ঘের নিয়ে কারা যেনো কি বলে গেলো। অথচ সেই অভিযোগ তুলে আমার ইউপি চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদি আমার ওপর নির্যাতন শুরু করেছেন। আমি দুই প্রতিবন্ধী শিশু নিয়ে এখন প্রাণভয়ে ভীত। এমনকি এই প্রেস কনফারেন্স করতে এসেছি তার লোকজনের নজর এড়িয়ে। এই সংবাদ সম্মেলনের পর আমাকে হত্যার সংবাদ আপনাদের লিখতে হয় কিনা তাই ভাবছি। 

জেলার কালিগঞ্জের মৌতলা ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাঈদ মেহেদির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলে শুক্রবার দুপুর ১২টায় সংবাদ সম্মেলন করেছেন নামাজগড় গ্রামের আনোয়ার আলি শাহজী। তিনি বলেন চেয়ারম্যানের নিষেধের কারণে আমি আমার জমি বিক্রি করতে পারছি না। এমনকি পুকুরে জাল টেনে মাছও ধরতে পারছি না। এ ছাড়া পুকুর বন্দোবস্তের টাকাও লেনদেন করতে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছি।

তবে এ বিষয়ে চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদি বলেন ‘ আমার এলাকায় কিছু লোককে ডিলারশীপ দেওয়া নিয়ে আমার সাথে এমপির দুরত্বের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট জমি ও পুকুরের বিষয় নিয়ে আমি আগে একবার সালিশ করেছি। তা বাস্তবায়িত না হওয়ায় ছফুরন্নেসার ওয়ারেশগন তাদের জমির জন্য ফের আবেদন করেছেন আমার কাছে। এই সালিশ যাতে বিতর্কিত হয় সেই লক্ষ্যেই আনোয়ার শাহজী নাটক করছেন’। তিনি যে অভিযোগ করেছেন তা মিথ্যা দাবি করে চেয়ারম্যান বলেন এসব নিয়ে তাকে আমি কিছু কড়া কথা বলেছি মাত্র এটা সত্য। বলেছি শান্তিপূর্নভাবে মিটিয়ে নেন। কিন্তু তিনি এই কথাকে পুঁজি করে কারও ইন্ধনে কল্পকথা রচনা করেছেন আমার বিরুদ্ধে’।

সংবাদ সম্মেলনে আনোয়ার শাহজী বলেন ‘ ৩০ মে ইউনিয়ন পরিষদে গেলে এমপির কাছে কি নালিশ করেছিস এই কৈফিয়ত তলব করে চেয়ারম্যান আমাকে রশি দিয়ে পিঠমোড়া দিয়ে বেঁধে লাঠি এনে পিটানোর জন্য গ্রাম চৌকিদারকে নির্দেশ দেন। আরও বলেন ঘাট ডিঙ্গিয়ে ঘাস খেতে গেছো। তোরে দেখে নেব। আগামি পাঁচ বছর আমি তোদের বাপ। যা করবো তাই হবে। তোর জমিতে পুকুর কাটবো। জনগণের জন্য ফিল্টার বসাবো’। ্অশালীন ভাষায় এভাবে গালাগাল করার পর শতাধিক লোকের সামনে তিনি আরও বলেন ‘ আজকের মতো তোকে ছেড়ে দিলাম । মজা দেখাবো পরে’। আমি বলেছি ‘আমার দুটি প্রতিবন্ধী ছেলে । আমাকে প্রাণে মারবেন না। আমাকে ভুল বুঝে আমার ক্ষতি করবেন না’।

আনোয়ার শাহজী বলেন আমি তার ও তার পেটুয়া বাহিনীর ভয়ে ভীত। আমি এখন নিরাপত্তা চাই। তিনি প্রধানমন্ত্রী ও স্থানীয় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন এলাকার ফারুক হোসেন, আরিফুল ইসলাম , তানভির রহমান উজ্জ্বল ও জাহিদ হাসান।

(আরকে/এএস/জুন ০৩, ২০১৬)