স্পোর্টস ডেস্ক : আইপিএল থেকে দেশে আসার পরদিনই সোজা নিজের গ্রামের বাড়িতে চলে গিয়েছেন বিশ্রামের উদ্দেশ্যে; কিন্তু, বিশ্রাম কোথায়? বলছি মুস্তাফিজের কথা। গ্রামের বাড়িতে মুস্তাফিজ যেন আরও বেশি ব্যাস্ত। আত্মীয়-স্বজন ছাড়াও প্রতিদিন শত শত ভক্ত-সমর্থক ভিড় জমাচ্ছেন তার বাড়িতে।

কেউ শুভেচ্ছা জানাতে, কেউ একটা ছবি তুলতে, কেউ একটু ছোঁয়া পেতে হাজির হচ্ছেন তেঁতুলিায়ায় মুস্তাফিজের বাড়িতে। আর সহাস্যে সব ভক্তের সামনেই হাজির হচ্ছেন ক্রিকেটের এই বিস্ময় বালক। সবারই আবদার পূরণ করছেন তিনি। এতে করে বিশ্রাম তো দুরে থাক, ন্যুনতম ঘুমটুকুও হচ্ছে না তার।

তবে এবার মুস্তাফিজের নিরাপত্তা, তার নিরবিচ্ছিন্ন ঘুম এবং বিশ্রাম নিশ্চিত করার দায়িত্ব হাতে তুলে নিয়েছে প্রশাসন। তেঁতুলিয়ায় তার বাড়িতে পাঠানো হয়েছে পুলিশ। তারা সার্বক্ষনিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে মুস্তাফিজের। তিনি যেন পর্যাপ্ত ঘুম এবং বিশ্রাম পান সে দিকেই নজর প্রশাসনের। বিষয়টা নিশ্চিত করেছেন কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লস্কর জায়াদুল ইসলাম।

মুস্তাফিজের বড় ভাই মোখলেসুর রহমান বলেন, ‘মুস্তাফিজ বাড়িতে আসার পর থেকেই আশ-পাশে পুলিশি প্রহরা ছিল। তবে তারা সরাসরি বাড়িতে অবস্থান নেয়নি। রাস্তায় কিংবা একটু দূরে কোথাও ছিল তাদের অবস্থান। শুধু যারা আসা-যাওয়া করছিল তাদের গতিবিধি নজরে রাখাই ছিল পুলিশের কাজ। তবে আজ শনিবার থেকে পুলিশ সরাসরি আমাদের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছে। মুস্তাফিজের পর্যাপ্ত বিশ্রাম যাতে নিশ্চিত হয়, এ উদ্দেশ্যেই প্রশাসনের এত কড়াকড়ি।’

তিনি আরও জানান, ‘গত দু’দিন ভক্ত, বন্ধু ও আত্মীয়স্বজনদের সময় দেওয়ার কারণে বিশ্রাম নিতে পারেননি মুস্তাফিজ। ভক্তদের ভিড়ের ফলে দেরি করে ঘুমাতে যাওয়ার বিপরীতে বাধ্য হয়ে ঘুম থেকে উঠতে হচ্ছে সকাল-সকাল। এ কারণেই স্থানীয় প্রশাসন ও পরিবারের পক্ষ থেকে মুস্তাফিজের সঙ্গে দেখা করার ব্যাপারে কিছুটা কড়াকাড়ি আরোপ করা হয়েছে। তার সঙ্গে দেখা করা, কথা বলা কিংবা ছবি তোলার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। আবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত।’

(ওএস/এএস/জুন ০৪, ২০১৬)