সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সাম্প্রতিককালে দেশবেপি সংগঠিত সকল হত্যা কান্ড ও নির্যাতনের প্রতিবাদে  মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। বুধবার সকাল ১০টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে আশাশুনি-সাতক্ষীরা সড়কে এ কর্মসূচি পালিত হয়।

সাতক্ষীরা সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে মানববন্ধন চলাকালে সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল হামিদ,সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এম কামরুজ্জামান, দীপ্ত টিভি’র সাতক্ষীরা প্রতিনিধি রঘুনাথ খাঁ, গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠক অ্যাড. ফাহিমুল হক কিসলু, বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতির সাতক্ষীরা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোবাশ্বেরুল হক জ্যোতি. স্বদেশ এর নির্বাহী পরিচালক মাধব চন্দ্র দত্ত, অ্যাকশান এউড এর কর্মী নাজমুন নাহার, ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটির সাতক্ষীরা জেলা শাখার সদস্য সচিব হাফিজুর রহমান মাসুম, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সাতক্ষীরা শাখার সভাপতি বিশ্বজিৎ সাধু, সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার শীল, সাংস্কৃতিক কর্মী নাসরিন খান লিপি, মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ সুভাষ সরকার, সাতক্ষীরা বাস মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রাণনাথ দাস, পৌর কাউন্সিলর ফারহা দিবা খান সাথী, সাংস্কৃতিক কর্মী রত্না, ইউপি সদস্য আকলিমা খাতুন প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী জামায়াত ও মৌলবাদি শক্তি দেশ জুড়ে হত্যাযঞ্জ চালিয়েছিল। বাসে ও ট্রাকে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মেরেছিল। সরকার তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ায় তারা তাদের রুট পরিবর্তন করেছে। এরই অংশ হিসেবে তারা সম্প্রতি চিকিৎক,পুলিশ সুপারের স্ত্রী, পুরোহিত, খ্রীষ্টান ধর্মযাজক. কলেজ শিক্ষক ও মুক্ত চেতোনার মানুষকে বেছে বেছে হত্যা করছে।

এ ধরণের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে সাতক্ষীরার বিভিন্ন মঠ ও মন্দিরের পুরোহিতসহ গীর্জার ধর্মযাজকদের মধ্যে। সরকার এখনই এ সব ঘটানার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেফতার করে আইনের আওয়তায় না আনলে এ সহিংসতা বন্ধ করা যাবে না। এ সহিংসতা ক্রমশই বাড়তে থাকবে। এ জন্য সরকারকে আরও কঠোর হতে হবে। একই সাথে জনগণকে সোচ্চার হতে হবে।

(আরকে/এএস/জুন ০৮, ২০১৬)