আগৈলঝাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধি : বরিশালের আগৈলঝাড়ায় রোগীর সাথে থাকা স্বজনেদেরও জোর করে ভন্ড ফকিরের চিকিৎসায় স্কুল ছাত্রী দুই যমজ বোনসহ তার মা গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। ভন্ড ফকিরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

হাসপাতালে ভর্তি আহত রোগী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের উত্তর শিহিপাশা গ্রামের চান্দু খার ছেলে ভন্ড ফকির হাচেনের আস্তানায় সমস্যা নিয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উজিরপুর উপজেলার মাদারশী গ্রামের সুখ রঞ্জন হাওলাদারের মেয়ে বিথীকে নিয়ে নিয়ে আসেন তার পরিবার।

এসময় বিথীর সাথে আসা তার সুস্থ-স্বাভাবিক মা রীনা হাওলাদার ও যমজ বোন সাথী হাওলাদারকেও ভন্ড হাচেন ফকির গোটা পরিবারের উপর জ্বীন পরির আছর লেগেছে জানিয়ে জোর করে পানি পড়া, ঝাড়-ফুক ও তাবিজ দিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়। ভন্ড ফকিরের ওই পড়া পানি খেয়ে তারা ওই গ্রামের এক আত্মীয়র বাড়িতে রাত্রি যাপনের জন্য গেলে সেকানে মা ও দুই মেয়ে তিন জনই অসুস্থ হয়ে পড়। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় সাথীকে তার স্বজনেরা বুধবার রাতেই উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করে।

অসুস্থতার পরপরই সাথীর আত্মীয় স্বজনেরা ওই ভন্ড ফকিরের বাড়িতে গিয়ে তাদের অসুস্থতার কারণ জিজ্ঞাস করলেও ভন্ড ফকির হাচেন কোন সদোত্তর দিতে পারেনি। স্থানীয়রা এ ঘটনা পুলিশকে জানালে পুলিশ বুধবার রাতেই ভন্ড ফকির হাচেনকে নিজ আস্তানা থেকে গ্রেফতার করে।

এদিকে হাসপাতাল ত্যাগের জন্য ওই ভন্ড ফকিরের লোকজন সাথী ও তার পরিবারকে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন সাথীর স্বজনেরা। এই ভন্ড ফকির হাচেনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন এলাকার রোগীদের সাথে প্রতারনার করে টাকা পয়সা হাতিয়ে নেয়ার বিস্তর অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। ভন্ড ফকিরের প্রতারণা থেকে মুক্তি পেতে শাস্তির দাবি জানিয়েছেন এলাবাসী।

(টিবি/এএস/জুন ০৯, ২০১৬)