সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : বাবা মোটর সাইকেল কেনার টাকা না দেওয়ায় অপহরণ নাটক করতে যেয়ে চাঁদাবাজির মামলায় জেল হাজতে গেছে এক স্কুল ছাত্রসহ তিনজন। শুক্রবার সকালে বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার শ্রীরম্ভা গ্রাম থেকে পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃতরা হলো, সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার কাঁকশিয়ালি গ্রামের ফজর আলীর ছেলে জুবায়ের আহম্মেদ (১৫), শ্যামনগর উপজেলার আইটপাড়া গ্রামের লুৎফর রহমান মল্লিকের ছেলে রিয়াজুল ইসলাম ওরফে সবুজ (২০) ও বাগেরহাট জেলার রামপাল উপজেলার শ্রীরম্ভা গ্রামের আনিছ গাজীর ছেলে নাঈম গাজী (১৯)। সবুজ ও নাঈম খুলনা কৃষি ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউটে পড়াশুনা করে।
কালীগঞ্জ উপজেলার কাঁকশিয়ালী গ্রামের ফজর আলী জানান, তার ছেলে জুবায়ের আহম্মেদ নলতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্র। গত বুধবার সে মোটর সাইকেল কেনার জন্য তার কাছে টাকা চায়। টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় জুবায়ের বুধবার সকাল ৯টার দিকে খুলনায় তার চাচাত মামা রিয়াজুল ইসলাম ওরফে সবুজের হোস্টেলে চলে যায়। সেখানে অবস্থানকারী সবুজের সহপাঠি নাঈমের পরামর্শ মত বাবার কাছ থেকে মোটর সাইকেল কেনার টাকা আদায় করার জন্য অপহরণের নাটক সাজায়। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে নাঈম, জুবায়ের ও সবুজ বুধবার রাতে রামপালের শ্রীরম্ভা গ্রামে যায়। বৃহষ্পতিবার ভোরে নাঈম একটি মোবাইল থেকে জুবায়েরের মুক্তিপণ বাবদ ১০ লাখ টাকা দাবি করে তার (ফজর আলী) কাছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে টাকা না দিলে জুবায়েরকে হত্যা করে লাশ নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। বিষয়টি তিনি তাৎক্ষণিকভাবে কালীগঞ্জ থানাকে অবহিত করেন।

কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লস্কর জায়াদুল হক জানান, মুক্তিপণ দাবি সংক্রান্ত মোবাইল ফোনের অবস্থান চিহ্নিত করে বৃহষ্পতিবার সন্ধায় উপপরিদর্শক অমল কুমার বিশ্বাস ও উপরিদর্শক রমজান আলীর নেতৃত্বে পুলিশ রামপালের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। শুক্রবার ভোরে শ্রীরম্ভা গ্রামের নাঈমের বাড়ি থেকে নাঈম, রিয়াজুল ও জুবায়েরকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা পুলিশের কাছে অপহরণ নাটকের কথা জানায়। তাদেরকে শুক্রবার দুপুর একটার দিকে কালীগঞ্জ থানায় নিয়ে আসা হয়।

তিনি আরো বলেন, এ ঘটনায় উপপরিদর্শক রমজান আলী বাদি হয়ে জুবায়ের, রিয়াজুল ও নাঈমের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি চাঁদাবাহির মামলা দায়ের করেছেন। গ্রেফতারকৃতদের আগামিকাল শনিবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হবে।

(আরকে/পি/জুন ১০, ২০১৬)