নওগাঁ প্রতিনিধি :নওগাঁয় নিখোঁজ হওয়ার ৫ দিন পর মাটিতে পুঁতে রাখা অবস্থায় শনিবার সকালে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে নওগাঁ সদর উপজেলার শিমুলিয়া (আনন্দবাজার) গ্রামে। পুলিশের ধারনা মাত্র ১৮ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়ার জন্যই তাকে হত্যা করে লাশ মাটিতে পুঁতে রাখা হয়েছে। এদিকে লাশ উদ্ধারের পর পরই বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী সংঘবদ্ধ হয়ে আব্দুল মজিদের বাড়িতে ভাঙ্গচুর এবং অগ্নিসংযোগ করেছে।

নওগাঁ সদর মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ জাকিরুল ইসলাম জানান, শিমুলিয়া গ্রামের আবুল হোসেনের পুত্র তুহিন (৩৫) সোমবার (৬জুন) গার্ক নামে একটি সমিতি থেকে ২০ হাজার টাকা ঋন উত্তোলন করেন। ২ হাজার টাকা দেনা পরিশোধ করে পরদিন মঙ্গলবার বেলা দেড়টায় ১৮ হাজার টাকা নিয়ে গরু কেনার জন্য রানীনগর উপজেলার ত্রি-মোহিনী হাটের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে আর বাড়ি ফিরে আসেনি।

পারিবারিকভাবে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তার কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। উক্ত তুহিন গ্রামে যাদের সঙ্গে মেলামেশা করে তাদের সবার নিকট খোঁজ করা হয়। এই অনুসন্ধানের ৪ দিন পর শুক্রবার তাদের একজন আভাস দেয় যে আব্দুল মজিদের বাড়ির আঙ্গিনায় কোদাল দিয়ে মাটি খনন করা হয়েছে। এই জায়গায় মাটি খনন করলে কিছু পাওয়া যেতে পারে। এই তথ্যের ভিত্তিতে নওগাঁ সদর থানা পুলিশকে সংবাদ দেয়া হয়। পুলিশ স্থানীয় লোকজন ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে শনিবার সকালে ওই গ্রামের মৃত মফিজ ফকিরের ঘরজামাই আব্দুল মজিদের বাড়ির আঙ্গিনায় উক্তস্থানে খুঁড়ে তুহিনের দুর্গন্ধযুক্ত লাশ উদ্ধার করে।

এরই মধ্যে খননের প্রস্তুতি নেয়ার খবর শুনেই মৃত মফিজ ফকিরের পুত্র হাসান এবং তার ঘরজামাই ভগ্নিপতি আব্দুল মজিদ স্বপরিবারে পালিয়ে যায়। পুলিশ এলাকায় ব্যাপক অভিযান চালিয়ে উক্ত হাসান, সদরুল ইসলামের পুত্র জাকারিয়া, মৃত আব্দুল গফুরের পুত্র শুকুর আলী, শাহীন, হাসানের মা হাসনা বেগম ও স্ত্রী বর্নাকে গ্রেফতার করেছে।

পুলিশ এ ব্যাপারে একটি হত্যা মামলা রেকর্ড করে এবং লাশ ময়না তদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসাপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।


(বিএম/এস/জুন ১১,২০১৬)