নওগাঁ প্রতিনিধি: প্রেমিকার পিতার হাতে খুন হওয়া নওগাঁর শালুকা গ্রামের যুবক উজ্জল হোসেনের লাশের ময়না তদন্তের জন্য দীর্ঘ আড়াই বছর পর সোমবার দুপুরে কবর থেকে তার হাড়গোড় উত্তোলন করা হয়।

নিহত উজ্জলের বাড়ি সংলগ্ন চকগোবিন্দ মহল্লায় তাদের পারিবারিক গোরস্থান তাকে দাফন করা হয়েছিল। লাশ উত্তোলনের সময় সেখানে শত শত নারী-পুরুষ, শিশু-বৃদ্ধ ভিড় জমায়।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, শালুকা গ্রামের আব্বাস আলী সাখিদারের পুত্র উজ্জল হোসেন বিগত ২০১৩ সালে আত্রাই উপজেলার গন্ডগোহালী গ্রামের মোঃ জিরোর ট্রাক্টর চালানোর কাজ করতো। এবং ওই গ্রামে জিরোর শ্বশুর খাদেম আলীর বাড়িতে থাকতো। এক পর্যায় আত্রাইয়ের শুটকিগাছা গ্রামের রেজাউল হক রেজার কন্যা রেশমা খাতুন তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে পালিয়ে উজ্জলের বাড়িতে চলে আসে। এতে উজ্জলের অবিভাবকরা রেশমাকে তার পিতার হাতে তুলে দেয়। কিন্তু রেশমা উজ্জলকে ছাড়া অন্য কাউকে বিয়ে করতে রাজি না হলে তার পিতা উজ্জলকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে ফেলার উদ্যোগ নেয়।

২০১৩ সালের ১০ সেপ্টেম্বর রাতে খাদেম আলীর বাড়িতে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় রেজা ও তার সঙ্গীরা খোলা জানালা দিয়ে বল্লম জাতীয় অস্ত্র দিয়ে উজ্জলের তলপেটের বাম দিকে আঘাত করে। দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর ও্ই বছর ১৬ ডিসেম্বর চিকিৎসাধীন অবস্থায় উজ্জল মারা যায়। এব্যাপারে আব্বাস আলী বাদী হয়ে প্রেমিকার পিতা রেজাউল ওরফে রেজা, ভাড়াটে খুনি সাইফুল ইসলাম ও মাহাতাব আলীকে আসামী করে মামলা দায়ের করলে গত ৪ মে পুলিশ রেজাউল ইসলামকে গ্রেফতার করে।

নিহত উজ্জলের মা সাহারা বেগম ও বাবা আব্বাস আলী অভিযোগ করে বলেন, আত্রাইয়ের রাজনৈতিক এক প্রভাবশালী নেতার কাছে ম্যানেজ হয়ে পুলিশ গা-ছাড়া ভাবে মামলাটি তদন্ত করছে। তারা পুত্র হত্যার সুবিচার দাবি করছেন সরকারের কাছে।


(বিএম/এস/জুন ১৩,২০১৬)