জয়পুরহাট প্রতিনিধি :জয়পুরহাট সদর উপজেলার কোঁচকুড়ি গ্রামে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে মোহাম্মদ সোহেল (৩৫) ও মুনির হোসেন (৩২) নামে দুই যুবক নিহত হয়েছে। তারা হত্যা মামলার আসামি বলে পুলিশ জানিয়েছে।

নিহত মোহাম্মদ সোহেল জয়পুরহাট সদর উপজেলার ভাদসা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ও ওই ইউনিয়নের ছাওয়ালপাড়া গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে এবং মুনির হোসেন তার সহযোগী ও কোঁচকুড়ি গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে।

গতরাত আড়াইটার দিকে স্থানীয় গোপালপুর-কুঁচকুড়ি সড়কে কথিত এ বন্দুকযুদ্ধের এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনার সময় নিহতদের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলি, একটি ম্যাগজিন ও দুটি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয় বলে দাবি করেছে পুলিশ। পুলিশ আরো দাবি করে, বন্দুকযুদ্ধে সদর থানার ওসি ফরিদ হোসেন, এএসআই মশিউর রহমান এবং কনস্টেবল মোস্তাফিজ আহত হয়েছেন। তাঁদেরকে জেলা আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জয়পুরহাটের সহকারী পুলিশ সুপার অশোক কুমার পাল জানান, ভাদসা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে আজাদ হত্যা মামলার আসামিরা তাদের গ্রামের বাড়ি কোঁচকুড়ি গ্রামে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে- এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতরাত আড়াইটার দিকে সেখানে অভিযান চালায় পুলিশের একটি দল। তারা গোপালপুর বাজার পার হয়ে কোঁচকুড়ি সড়কে ওঠামাত্র টের পেয়ে আসামিরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়লে উভয় পক্ষে ব্যাপক গোলাগুলি হয়।

খবর পেয়ে আশপাশের গ্রামবাসী লাঠিসোঁটা নিয়ে ছুটে আসলে পালিয়ে যায় আসামিরা। পরে গোপালপুর-কোঁচকুড়ি সড়কে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মোহাম্মদ সোহেল ও মুনির হোসেনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় একটি বিদেশি পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলি, একটি ম্যাগজিন এবং দুটি হাসুয়া উদ্ধার করার দাবি করে পুলিশ। লাশ জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশের ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
(ওএস/এস/জুন ১৪,২০১৬)