বান্দরবান প্রতিনিধি : বান্দরবানে আওয়ামীলীগ নেতা মংফু মেম্বারকে অপহরনের প্রতিবাদে ও মুক্তির দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো অনির্দিষ্টকালের সড়ক ও নৌপথ অবরোধ চলছে। অবরোধের কারণে আজ বুধবার সকাল থেকে দূরপাল্লার ও অভ্যন্তরীন রুটে কোন ধরনের যানবাহন চলাচল করেনি। নৌ পথেও কোন নৌ যান চলাচল করছে না।

শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে নেতাকর্মীরা অবস্থান নিয়ে পিকেটিং করছে। সকাল থেকে টাইয়ার জ্বালিয়ে, রাস্তায় ব্যারিকেট সৃষ্টি করে পিকেটিং করছে তারা। ফলে শহরে অটোরিক্সা, মোটর সাইকেল, রিক্সাসহ সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। যাতায়াতকারীরা ৮-থেকে ১০ কিলোমিটার পাহাড়ী রাস্তা পায়ে হেঁটে চলাফেরা করছে। ফলে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। কানাপাড়া এলাকার বাসিন্দা তুয়াল বম জানান, তিনি পায়ে হেঁটে কানাপাড়া থেকে বাজারে গিয়ে একটি কাঠাল বিক্রি করেছেন এবং সেই টাকা দিয়ে বাজার করে বাড়ি ফিরছেন।

অবরোধ চলাকালে জেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি একেএম জাহাঙ্গীর জানান, অপহৃতকে স্বশরীরে ফেরত না পাওয়া পর্যন্ত অবরোধ কর্মসুচী অব্যহত থাকবে। যারা এই অপহরনের সাথে জড়িত তাদের বলতে চাই মং ফু কে জীবিত ফেরত দেয়া না হয় তাহলে এর পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে বলে তিনি হুশিয়ারী উচ্চরণ করেন।

এদিকে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে শহরের বিভিন্ন স্থানে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ। জেলার অপর ৬ উপজেলার মধ্যে ৩ উপজেলায় অবরোধ শিথিল করা হয়েছে। বাকী রোয়াংছড়ি, রুমা ও থানছি উপজেলায় অবরোধ কর্মসুচী পালিত হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার রাতে আওয়ামীলীগের ঐ নেতাকে জামছড়ি মুখ পাড়া থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায় অন্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা।

এঘটনার পর নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা উদ্ধার অভিযান শুরু করে। অপহৃত মংফু মারমা বান্দরবান সদর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি সদস্য।

এদিকে অপহরনের মামলায় এ পর্যন্ত ২জনকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতরা হলেন, সদর উপজেলা জনসংহতি সমিতির যুগ্ন সম্পাদক উসাইচিং মারমা ও মে হ্লা চিং মারমা। এ ঘটনায় জেএসএস’র ৩৮ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা রুজু করা হয়েছে বান্দরবান থানায়।

(এএফবি/এএস/জুন ১৬, ২০১৭)