সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : জঙ্গী ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে গণ প্রতিরোধ গড়ে তোলার লক্ষ্যে সাতক্ষীরায় শান্তিপ্রিয় সাধারণ জনগণের মাঝে লাঠি ও বাঁশি বিতরণ করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে শহরের মুন্সিপাড়া শ্যামসুন্দর মন্দির প্রাঙ্গনে খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি মনির-উজ-জামান পিপিএম বার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ লাঠি ও বাঁশি বিতরণ করেন।

আন্তজার্তিক কৃষ্ণ ভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) সাতক্ষীরা এর আয়োজনে ও মুন্সিপাড়া শ্যামসুন্দর মন্দিরের অধ্যক্ষ পরম পুরুষ কৃষ্ণদাস ব্রক্ষ্মচারীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলা রেঞ্জের ডিআইজি এসএম মনিরুজ্জামান।

অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবির, খুলনার পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান, সাতক্ষীরা জয় মহাপ্রভু সেবক সংঘের সভাপতি বিশ্বনাথ ঘোষ, জেলা হিন্দু বৌদ্ধ ঐক্য পরিষদের সভাপতি বিশ্বজিত সাধু, সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার শীল, জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি মনোরঞ্জন মূখার্জী, প্রেসক্লাব সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সাংবাদিক কল্যাণ ব্যানার্জী প্রমুখ।

প্রধান অতিথি বলেন, জনতার শক্তির উপরে কোন শক্তি নেই। এখন থেকে সবার হাতে লাঠি ও বাঁশি থাকবে। ঐক্যবদ্ধভাবে সন্ত্রাসী ও জঙ্গীদের মোকাবিলা করতে হবে। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ মোকাবেলায় জনগনকে এগিয়ে আসতে হবে। তার কারণ দেড় লাখ পুলিশকে দিয়ে ১৬ কোটি মানুষের বাড়ি বাড়ি পাহারা দেয়া সম্ভব নয়। তবে তিনি লাঠি অপব্যবহারের সতর্কতা তুলে ধরে বলেন, লাঠি তুলে দেয়া হচ্ছে চর দখল, জমি দখলের জন্য নয়, দুর্বৃত্তদের পাহারা দেয়ার জন্য।

শান্তি প্রিয় মানুষের রক্ত ঝরানো হলে দুর্বৃত্তদের পরিবারেও রক্ত ঝরবে। কারণ আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার সাংবিধানিক অধিকার। তিনি পাড়ায় পাড়ায় প্রতিরোধ কমিটি করে দুর্বৃত্তদের পাহারা দেয়ার আহবান জানান।

তিনি বলেন, বসে বসে মার খেলৈ চলবেনা। ১৬ কোটি মানুষ অঘোরে মরবেনা। পাড়া-মহল্লায় অপরিচিত লোক আসলে তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করার আহবান জানান, জনতার হাতে লাঠি বাঁশিকে যারা বাঁকা চোখে দেখে তাদের সমালোচনা করে তিনি আরো বলেন, শক্তির প্রতিক লাঠি। তাদেরকে উদ্বুদ্ধ করার জন্য এই লাঠি দেয়া হয়েছে। পরে তিনি লাঠি ও বাঁশি সাধারণ জনগণের হাতে তুলে দেন।

(আরকে/এএস/জুন ১৮, ২০১৬)