ত্রিশাল(ময়মনসিংহ)প্রতিনিধি : এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা পাশ করেও টাকার অভাবে ভর্তি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। পাশ করার পরপরই একদিকে তাদেরকে ভর্তিযুদ্ধে নামতে হচ্ছে অনেক চড়াই উতরাই পার হয়ে যখন তারা কোন কলেজে ভর্তি সুযোগ পাচ্ছে ঠিক তখনি বিপত্তি ঘটাচ্ছে যে প্রতিষ্টান থেকে পাশ করে এসেছে সে প্রতিষ্ঠান প্রধান শিক্ষক ।

প্রশংসা পত্রের মূল্য এক হাজার টাকা নির্ধারণ করে বসে আছে প্রতিষ্ঠানগুলো। টাকা না দেয়া পর্যন্ত প্রসংসা পত্র দিবেনা বলে আল্টিমেটাম দিয়েছে ত্রিশালের নজরুল একাডেমীর প্রধান শিক্ষক মেছবাহ উদ্দিন। এতে শিক্ষার্থী ভর্তি হতে পারল কি পারলনা তা দেখার বিষয় না। এ যেন কোমলমতি শিক্ষার্থীদের নিয়ে চাঁদাবাজির এক নতুন হাট বসেছে। ময়মনসিংহের ত্রিশালে জাতীয় কবির বাল্য বিদ্যাপিঠের প্রধান শিক্ষকের সাফ কথা এক হাজার টাকা না দিলে প্রসংশা পত্র দিবনা পারলে আমার নামে মামলা কর। কে ভর্তি হবে কে হবেনা আমার দেখার বিষয় না টাকা না দিলে আমি প্রসংসা পত্র দিবনা। এ ব্যপারে বোর্ডের অনুমতি আছে কিনা জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক মেচবাহ উদ্দিন বলেন বোর্ড অনুমতির প্রয়োজন নেই আমি নির্ধারণ করেছি।
জানতে চাইলে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা বলেন ভর্তি সময় শেষ হয়ে যাওয়ায় আমাদেরকে বাধ্য হয়ে নিতে হচ্ছে। প্রতিবাদ করলে প্রসংসা পত্র দিবেনা বলে সাফ জানিয়ে দেয়।

অপর এক শিক্ষার্থী বলেন আমার বাবা ভ্রান চালক। টাকা দিতে পারছেনা আরও দুদিন ভ্যান চালানোর পর আমাকে টাকা দিতে পারবে। পরে প্রশংসা পত্র নিতে হবে। জানিনা আদৌ ভর্তি হতে পারব কিনা।

এ ব্যপারে উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তা চান মিয়া জানান, এ প্রশংসা পত্রের বিপরীতে টাকা নেয়ার কোন বিধান নেই আমার কাছে অভিযোগ আসলে তদন্ত করে দেখব।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু জাফর রিপন বলেন বিষয়টি সত্য হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(এমআরএন/এস/জুন২১,২০১৬)