আন্তর্জাতিক ডেস্ক :আমাদের এই মহাবিশ্বে কতকিছুই না ঘটে থাকে, এরমধ্যে এমন কিছু ঘটনা ঘটে যা গোটা বিশ্ববাসীকে মুহূর্তেই অবাক করে দেয়। যা সত্যিই বিরল এবং বিস্ময়কর। এ রকম অবিশ্বাস্য কিছু ঘটনার ব্যাখ্যা বিজ্ঞানীরা দিতে পেরেছেন, হয়তো বা এর কিছু এখনো রয়ে গেছে অজানা রহস্যের বৃত্তে। তেমনই এক অদ্ভুত রহস্য হন্ডুরাসের মাছ বৃষ্টি।

তবে হ্যাঁ, বিজ্ঞানের সংস্পর্শে হন্ডুরাসের লোকাচার বিদ্যায় মাছ বৃষ্টি এখন একটি সাধারণ ঘটনা। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, এ অবিশ্বাস্য প্রাকৃতিক ঘটনা ঘটে মে মাস থেকে জুলাই মাসের মাঝামাঝি। প্রথমে আকাশে কালো মেঘ জমে। এরপর শুরু হয় তুমুল বৃষ্টি, সেই সঙ্গে প্রবল বাতাস, বিদ্যুত্ চমক আর বজ্রপাত। অবিরাম এই বৃষ্টির সাথে মাটিতে আছড়ে পরে অসংখ্য জীবন্ত মাছ। এ রকম চলে প্রায় ২-৩ ঘণ্টা। আর বৃষ্টি থেমে যাওয়ার পর শত শত জীবন্ত মাছ পড়ে থাকতে দেখা যায় মাটির ওপরে। লোকজন এসব মাছ কুড়িয়ে নিয়ে রান্না করে খায়। ১৯৯৮ সাল থেকে স্থানীয় লোকজন এ প্রাকৃতিক ঘটনার ওপর ভিত্তি করে প্রতিবছর উত্সবেরও আয়োজন করে। ফ্রান্সের প্রকৃতিবিজ্ঞানী এন্দ্রে মেরি এমপেরের মতে, আটলান্টিক মহাসাগরে সংগঠিত টর্নেডো উঠিয়ে নিয়ে আসে এই মাছগুলো এবং ২০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত হন্ডুরাসের ইউরো শহরে ফেলে। তবে প্রতিবছর একই সময় টর্নেডো আটলান্টিক মহাসাগর থেকে মাছ উঠিয়ে এনে ইউরোতেই ফেলবে এ ধরনের কাকতালীয় ঘটনা অনেকের মতে অসম্ভব। অনেকের মতে, এ মাছগুলো স্বাদু পানির এবং সাঁতরে কাছের নদী কিংবা জলাশয় থেকে ভূগর্ভস্থ জলাধারে আশ্রয় নেয়। ভারী বৃষ্টিতে মাটি ধুয়ে গেলে মাছগুলো উন্মুক্ত হয়ে পড়ে। আবার কারো কারো মতে, ১৮৫৬-১৮৬৪ সালে হন্ডুরাসে আসা এক সাধুর কারণে এ মাছ বৃষ্টি হয়। কথিত আছে, অনেক অভাবী লোক দেখে সেই সাধু তিন দিন, তিন রাত সৃষ্টিকর্তার কাছে অভাবীদের খাবারের চাহিদা মেটানোর মতো কোনো অলৌকিক ঘটনার জন্য প্রার্থনা করেছিলেন। সেই অলৌকিক ঘটনাই হচ্ছে এই মাছ বৃষ্টি, এমনটাই তাদের বিশ্বাস।


(ওএস/এস/জুন২৫,২০১৬)