সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার গরানবাড়িয়া গ্রামে বাবার বাড়িতে মৃত বাচ্চা রেখে পালিয়েছে মা মোসলেমা খাতুন। শনিবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। মৃত শিশুটির নাম রুপসী খাতুন (০৫)। সে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ছনকা গ্রামের ফজলু গোলদারের মেয়ে। পরে শিশুটির লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

শিশুটির চাচা বাবু গোলদার জানান, তার ভাই ফজলু গোলদারের সঙ্গে ছয় বছর আগে দেবহাটার উপজেলার গরানবাড়িয়া গ্রামের খোকন সরদারের মেয়ে মোসলেমার বিয়ে হয়। পরকীয়া প্রেমের জের ধরে মোসলেমা তার পাঁচ বছরের মেয়ে মেয়ে রুপসীকে নিয়ে দেড় মাস আগে ঢাকায় পালিয়ে গিয়ে সাদ্দাম হোসেন নামের একজন আম ব্যবসায়িকে বিয়ে করে। তারা ডেমরা এলাকায় বসবাস করতেন বলে জানা গেছে। বিয়ের পর থেকে ছনকায় শ্বশুর বাড়ি এলাকায় তার কোন যোগাযোগ ছিলনা।

শুক্রবার রাতে ঢাকা থেকে পরিবহনে সাতক্ষীরায় এসে সকালে মোসলেমা দেবহাটা উপজেলার গরানবাড়ীয়া গ্রামে তার বাবা মৃত খোকন সরদারের বাড়ীতে উঠে। এরপর শিশুটিকে তিনি বিছানায় ঘুম পাড়িয়ে দেয়ার নাম করে বেডশিট দিয়ে ঢেকে দেন। ঘন্টাখানেকের মধ্যে মোসলেমাকে খুজে না পেয়ে পরিবারের সদস্যরা ঘরে ঢুকে শিশুটিকে মৃত অবস্থায় দেখতে পায়।

স্থানীয় ইউপি সদস্য শাহিনুর রহমান জানান,শিশুটিকে দেখে মনে হয়েছে কয়েকদিন আগেই তাকে হত্যা করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে শিশুটির সৎ বাবা সাদ্দাম হোসেনই খুনী হওয়ার সম্ভাবনা বেশী।

দেবহাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একেএম মোস্তাাফিজুর রহমান জানান, জনৈক ব্যক্তির ফোন পেয়ে তাকে পরামর্শ দিয়েছি ঘটনাস্থলে মামলা ও ময়নাতদন্ত করার।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইমদাদুল হক শেখ জানান, মৃতশিশুটিকে নিয়ে তার চাচা থানায় এসেছিল। তাকে শিশুটির ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

(আরকে/এএস/জুন ২৫, ২০১৬)