সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি : ফরিদপুরের সালথা উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের সোনাপুর বাজারে পাগল মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ১৯ জুন অনুমান রাত ১০ টার দিকে সোনাপুর বাজারের খায়ের মেম্বারের বিল্ডিংয়ের ভিতর এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিয়ে বাজার কমিটি, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও সচেতন মহলের মধ্যে চাঁপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। এঘটনা নিয়ে এলাকায় দাঙ্গার আশংকা রয়েছে।

জানা যায়, ঘটনার দিন রাতে সোনাপুর বাজারে খায়ের মেম্বারের বিল্ডিং এর ফ্লোরে ঘুমিযে থাকা ২৮ বছরের অজ্ঞাতনামা এক পাগল মহিলাকে জোর পূর্বক টেনে-হেঁচড়ে দু-তলায় উঠিয়ে উপুর্যপরি ধর্ষণ করেছে। এ সময় বাজারের অন্যান্য দোকানদার বিষয়টি জানতে পেরে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশকে অবহিত করে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রত্যক্ষদর্শী বাজারের নাইট গার্ড ও বিষু মিয়া জানায় এ বিষয়ে কথা বললে ঠ্যাং কেটে ফেলার হুমকি দিচ্ছে ধর্ষকরা। ধর্ষণকারীরা এলাকার প্রভাব বিস্তার করে বিষয়টি ধামা-চাপা দেওয়ার পায়তারা করছে।

৫/৬ জনের বিরুদ্ধে সালথা থানায় মৌখিকভাবে জানালে এএসআই মোশারফ উক্ত এলাকায় গিয়ে বাজারের দোকানদারদের নিকট থেকে বিষদ বিবরণ শুনে হুমায়নের মোটরসাইকেল আটক করে থানায় নিয়ে আসে(মোটর সাইকেল এখনো থানায় আছে)। সোনাপুর বাজারের ঘর মালিক বেলায়েত হোসেন (বিলু মিয়া), খায়ের মেম্বার, মুন্নু মেম্বার, খারদিয়ার আলমগীর মিয়াসহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ পবিত্র মাহে রমজানের সময়ে বাজারে এ ধরনের অসামাজিক কর্মকাণ্ডের প্রেক্ষিতে শুক্রবার অশোক ডাক্তার এর ঘরে এক ধিক্কার সভায় মিলিত হন, যেখানে সর্ব্বসন্মত সিদ্ধান্তক্রমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেন।

এদিকে ধর্ষকদলের নিকট থেকে পুলিশের ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ করে স্থানীয় দোকান মালিকরা জানায়, গত ১৯ তাং দিনগত রাতে ঘটনাটি ঘটেছে, দৌদণ্ড প্রতাপে ধর্ষকদল ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং বাজারের দোকানদারদের ভয়-ভীতি প্রদর্শন করছে। পুলিশ মোটরসাইকেল আটক করে রেখেছে অথচ ধর্ষকদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি, যার ফলে ধর্ষকদল অন্যায় করেও মারমুখী অবস্থায় আছে। সূত্র বলছে, প্রতিবাদমূখর জনতা, বাজারের দোকানদার সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ শনিবার আবার শালিস-দরবারে বসবে বলে জানা গেছে। স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা বেলায়েত হোসেন বিলুমিয়া ও আলমগীর মিয়া জানান, বাজারে এমন অনৈতিক ঘটনা অনাকাঙ্খিত, ধর্ষকদল যতো শক্তিশালী হোকনা কেন মেনে নেয়া হবে না, বিষয়টি উপর মহলে জানানো হয়েছে।

এব্যাপারে সালথা থানার এএস মোশারফ হোসেন বলেন, এরকম ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি। আমাদের কাছে কেউ অভিযোগ করে নাই। অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নিতাম। অন্যদিকে মোটরসাইকেলটির কোন কাগজপত্র না থাকায় থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।

(এএসএইচ/পি/জুন ২৫, ২০১৬)