গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি :গোপালগঞ্জে এক স্কুল ছাত্রীকে পাশবিক নির্যাতন করার  অভিযোগ উঠেছে। অসুস্থ অবস্থায় ওই কিশোরীকে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসাপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

নির্যতনের শিকার ওই কিশোরী গোপালগঞ্জ শহর তলীর বেদগ্রাম হাজী নাদের আলি-সাদেক আলি হাইস্কুলের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী। এ ঘটনার সাথে জড়িত ব্যাক্তি শামীম মোল্লাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানাগেছে, গোপালগঞ্জ শহরের বেদগ্রাম ফড়িঙ্গাবাড়ী এলাকায় সোমবার সন্ধ্যায় দুই মেয়েকে বাড়ীতে রেখে কাজে গিয়ে ছিলেন মা-বাবা। এ সুযোগে ঘরে ঢোকে একই এলাকার বাচ্চু মোল্যার ছেলে শামীম মোল্যা। নির্যাতনের শিকার কিশোরীকে শাসন করতে তার বাবা তাকে পাঠিয়েছে এমন কথা বলে ওই কিশোরীর বড় বোনকে (হীরা বালা) ঘরের বাইরে যেতে বলে। হীরা সরল বিশ্বাসে ঘরের বাইরে গেলে কিশোরীর (মুক্তা বালা-১২ বছর) হাত-পা ও মুখ বেঁধে পাশবিক নির্যাতন করে । পরে নির্যাতনকারী শামীম কৌশলে পালিয়ে যায়। বিষয়টি বাড়ির পাশের এক মহিলাকে বলে ওই কিশোরী তার বোন। অসুস্থ অবস্থায় কিশোরীর বাবা-মা ও প্রতিবেশীরা তাকে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারলে হাসপাতালে ভর্তি করে।

এ ঘটনায় রাতেই নির্যাতিতার মা ( আভা বালা ) বাদী হয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিত্বে পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত শামীমকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। বিষয়টি শুনেই রাতের বেলা গোপালগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার আমীনুল ইসলাম হাসপাতালে গিয়ে মেয়েটির খোঁজ খবর নেন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে
গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ফারুক আহমেদ জানান, হাসপাতালে নিয়ে আসার পর মেয়েটির চিকিৎসা দেওয়া হয় এবং ডাক্তারী পরীক্ষা করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে । রির্পোট পেলে আমরা বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারবো।
গোপালগেঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার (সাকের্ল) আমীনুল ইসলাম জানান, অভিযোগ পেয়ে তাৎক্ষনিকভাবে নির্যাতিতাকে হাসপাতালে চিকিৎসার দেয়ার পরামর্র্শ দিই। এ ব্যাপারে মামলা হয়েছে। আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তোর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ডাক্তারি রির্পোট পেলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

(পিএম/এস/জুন২৮,২০১৬)