স্টাফ রিপোর্টার : আজ বুধবার ঢাকার সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালে ৫৭ ধারার মামলার আসামি হিসেবে হাজিরা দিয়েছিলেন সাংবাদিক প্রবীর সিকদার। আজ তার বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে দাখিল করা চার্জশিটের ওপর শুনানির দিন ধার্য ছিল।

আদালতে চার্জশিটের ওপর শুনানির জন্য তৈরি ছিলেন প্রবীর সিকদারের পক্ষের আইনজীবীরা। কিন্তু চার্জশিট শুনানির জন্য তৈরি ছিলেন না রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী তথা মামলার বাদীপক্ষ। রাষ্ট্রপক্ষ সময়ের আবেদন করলে বিজ্ঞ বিচারক কে এম শামসুল আলম চার্জশিট শুনানির পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন আগামী ৪ আগস্ট ২০১৬।

গত বছরের ১৬ আগস্ট খুব নাটকীয় কায়দায় ঢাকার পুলিশ ইন্দিরা রোডের নিজের অফিস থেকে দৈনিক বাংলা ৭১, অনলাইন নিউজ পোর্টাল উত্তরাধিকার ৭১ নিউজ ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক ত্রৈমাসিক উত্তরাধিকার ৭১-এর সম্পাদক প্রবীর সিকদারকে তুলে নিয়ে যায়। পরে ওইদিনই ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানায় এলজিআরডি মন্ত্রী খোন্দকার মোশাররফ হোসেনের মানহানির অভিযোগ এনে সাংবাদিক প্রবীর সিকদারের বিরুদ্ধে ৫৭ ধারায় মামলা করেন ফরিদপুরের সরকারি উকিল স্বপন পাল। ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে ওই দিন গভীর রাতে ফরিদপুর নিয়ে যাওয়া হয়। ১৭ আগস্ট সারাদিন ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানায় হাতকড়া পরিয়ে সাংবাদিক প্রবীর সিকদারের ওপর অবর্ণনীয় নির্যাতন করা হয়। সন্ধ্যায় তাকে আদালতের মাধ্যমে ফরিদপুর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। পরদিন ১৮ আগস্ট প্রবীরকে ফরিদপুরের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ। আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরে তাকে আবার ফরিপুরের কারাগারে নেওয়া হয়। উল্লেখ্য, হুমকি ধামকির মুখে ফরিদপুরের কোনো আইনজীবী প্রবীর সিকদারের পক্ষে আইনী লড়াইয়ে নামতে পারেননি।

সাংবাদিক প্রবীর সিকদারের মুক্তির দাবিতে দেশে ও বিদেশে তীব্র আন্দোলনের মুখে রিমান্ডে না নিয়েই পরদিন ১৯ আগস্ট অর্থাৎ রিমান্ড আদেশের পরদিনই তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।

আজ বুধবার সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালে প্রবীর সিকদারের পক্ষে আইনী লড়াই করেন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের এডভোকেট আবদুর রশীদ, এডভোকেট মিজানুর রহমান, এডভোকেট আতাউল্লাহ নুরুল কবীর, এডভোকেট মেকসুয়েল চাকমা, এডভোকেট স্নিগ্ধা চাকমা প্রমুখ। স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাদের পাশে দাঁড়িয়ে প্রবীরের পক্ষে কথা বলেন এডভোকেট আমিরুল হক, এডভোকেট মলয় সাহা, এডভোকেট সাইফুল ইসলাম প্রমুখ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন পিপি এডভোকেট মোঃ নজরুল ইসলাম।

(পিএস/এএস/জুন ২৯, ২০১৬)