আবু নাসের হুসাইন, ফরিদপুর : ফরিদপুর জেলা গুলোর ঈদ মার্কেটে জমে উঠেছে কেনাকাটা। ছোট-বড় সবার কেনাকাটা নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন সব পেশার মানুষ। সাধ্যের মধ্যে থেকে বাবা মা চেষ্টা করছে ছেলে-মেয়েদের ঈদের পোশাক কিনে দিতে। বড়দের ঈদ নিয়ে শুধু টাকার টেনশন থাকলেও ছোটদের হাত গুনায় ঈদ আসন্ন।

প্রতিদিনের তালিকায় আর কয়টা রোজা আছে, ঈদের দিন কবে, এমন করে চলছে ঈদ উৎকন্ঠা। ইংরেজি মাসের চলছে ১ম সপ্তাহ। অনেকের বেতন না হলে ও চলছে সকলের কেনাকাটা। অভিভাবকদের প্রথমেই থাকে ছোটদের কেনাকাটার পর্ব। সোমবার জেলার বিপনী বিতানগুলোতে ঘুরে দেখা যায়, ছোট ও বড়দের কেনাকাটার দৃশ্য। ফরিদপুর জেলাতে এবার বাড়তি কিছু পোশাকের দোকান গড়ে উঠেছে। পাশাপাশি শিশুদের বাহারী নামে দোকানগুলো সাজিয়েছে শিশুদের নানা রঙ্গে। জেলায় নিউ মাকের্টে শিশুদের মেলা শিশু বাহার, বেবি সপ।

অন্যদিকে তিতুমীর মার্কেটের নাফিজ সালমান কালেকশন, বেলাল ফ্যাশন হাউস,বারিপ্লাজা, আয়শা সুপার মার্কেটে হরেক রকমের দোকান রয়েছে। সবার চোখ অকৃষ্ট করার জন্য। পোশাকের দোকানগুলোতে অন্যান্য দোকানের চেয়ে ভীড় বেশি। সালমান কালেকশনের স্বত্বাধিকার মোস্তাক আহমেদ জানান, ঈদ উপলক্ষে সর্বোচ্চ ডিজাইনের অসংখ্য পোশাকে সমৃদ্ধ করা হয়েছে। ক’দিন থেকে বিক্রি বেশ বেড়েছে।

সালথা থেকে কেনাকাটা করতে আসা পিয়া খাতুন জানান, কেনাকাটা একরকম শেষ। অন্যদিকে ছোট মেয়েদের দেশে তৈরি পোশাকের থেকে ওপার বাংলার সিরিয়াল নাটকের নায়িকাদের পোশাকের চাহিদা গত কয়েক বছরের মতোই আকাশচুম্বি।

গত কয়েক বছর ধরে চাহিদার শীর্ষে থেকে ব্যবসা করছে পাখি জামা, কিরণমালা, মুসকানমালা, ঝিনুক মালা। সবচেয়ে চড়াদাম কিরণ মালা। ছোটদের জন্য কিরণ মালা বিক্রি হচ্ছে ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকা আর বড়দের জন্য বিক্রি হচ্ছে ২২০০ থেকে ৪০০০ টাকা এবং মুসকানমালা ৮০০ থেকে ৯০০, ১০০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও নানা ডিজাইনের বাহারী রকমের জামা, ফ্রোগ, থ্রি-পিচ বিক্রি হচ্ছে তুলনামূলক কম।

মেয়েকে নিয়ে বাজারে কেনাকটা করতে আসা অভিভাবক আমিনুল ইসলাম জানান, দেশের ভালোমানের পোশাক থাকলে ও শিশুদের পছন্দ বাহিরের পোশাকে ইচ্ছা না থাকা সত্বেও কিনে দিতে বাধ্য হচ্ছে। ছোট ছেলেদের এবারের বেশ পছন্দের তালিকায় পাঞ্জাবী, জিন্স প্যান্ট আর শার্ট। তবে অভিভাবকদের অভিযোগ, ছেলের পছন্দ হলেই দোকানীরা দাম বেশ হাকাচ্ছে।

(এএনএইচ/এএস/জুলাই ০২, ২০১৬)