মিনারা হেলেন, নিউ ইয়র্ক : মাত্র একদিনের ব্যবধানে যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে দুই জন নিরস্ত্র কৃষ্ণাঙ্গকে হত্যা হত্যার ঘটনায় আবারও ফেঁপে উঠছে যুক্তরাষ্ট্রের জাতিগোষ্ঠির মানুষ। প্রথম হত্যাকাণ্ডের ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে পুলিশের বর্ণবাদী আচরণের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়, ঠিক এর মধেই আবার দ্বিতীয় হত্যাকাণ্ডটি ঘটে। এ ঘটনায়  বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র।

গত মঙ্গলবার প্রথম হত্যাকাণ্ডটি ঘটে লুইজিয়ানার ব্যাটন রগ শহরের একটি দোকানের সামনে। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায় ৩৭ বছর বয়সী আফ্রিকান আমেরিকান এল্টন স্টারলিংকে গুলি করেন এক পুলিশ কর্মকর্তা। এই হত্যার ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষোভ শুরু করে লুইজিয়ানার মানুষ। দ্বিতীয় দিনের মত বিক্ষোভ চলাকালে আরেকটি কৃশাঙ্গ হত্যার ঘটনা ঘটে।

দ্বিতীয় হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যে বুধবার। ফিলান্ডো ক্যাসটাইল নামের এক কৃষ্ণাঙ্গকে গাড়ি থেকে নামিয়ে গুলি করে হত্যা করে পুলিশ। ফিলান্ডোর বান্ধবী গাড়ির ভেতর থেকে এই দৃশ্যের ভিডিও ধারণ করে ছেড়ে দেন ইন্টারনেটে। তিনি বলেছেন, গাড়ি থামানোর পর ফিলান্ডো পকেটে হাত দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স বের করতে গেলে গুলি করে পুলিশ।

এই দুই হত্যাকাণ্ড যুক্তরাষ্ট্রের বর্ণবাদী চিত্র প্রকট করে তুলেছে মানুষের সামনে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাও একাধিকবার মার্কিন সমাজের চাপা দেয়া এই বর্ণবাদী সংস্কৃতির কথা স্বীকার করেছেন। আফ্রিকান আমেরিকানদের প্রতি মানসিক বিদ্বেষ এখনো রয়ে গেছে শেতাঙ্গদের মনে। তারই প্রকাশ ঘটেছে পুলিশের এই কর্মকাণ্ডে। যুক্তরাষ্ট্রে এর আগেও কৃষ্ণাঙ্গরা পুলিশের হাতে নির্যাতিত হয়েছে। কিন্তু এবারের ঘটনার মত এত তোলপাড় হয়নি কখনো।

(পি/জুলাই ০৮, ২০১৬)