আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের জম্মু ও কাশ্মিরে হিজবুল জঙ্গি কমান্ডার বুরহান ওয়ানির হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে নিরাপত্তাবাহিনীর সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১১ জনে দাড়িঁয়েছে। এ ঘটনায় ২০০ জন আহত হওয়ার খবর জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া।

শ্রীনগরসহ দক্ষিণ কাশ্মিরের বেশ কয়েকটি এলাকায় কারফিউ জারি করা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে জম্মু-কাশ্মিরের মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। এদিকে চলমান বিক্ষোভ দমন করতে আধা সামরিক বাহিনীর ১২০০ সদস্যকে সহিংস অঞ্চলে পাঠানোর পরিকল্পনা করছে দেশটির সরকার।

পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে প্রাণ হারানো হিজবুল মুজাহিদিন কমান্ডার বুরহান মুজাফফর ওয়ানির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে শনিবার (৯ জুলাই ) থেকে নতুন করে উত্তাল হয়ে ওঠে কাশ্মির। এদিন কারফিউ আর যৌথ বাহিনীর বাধা উপেক্ষা করে বুরহান ওয়ানির মৃতদেহ নিয়ে রাস্তায় নামে হাজার হাজার মানুষ। বিক্ষুব্ধ জনতা পুলিশের বিভিন্ন থানা, বিজেপি অফিস এবং নিরাপত্তারক্ষীদের ওপর হামলা চালায় বলে জানিয়েছে দেশটির বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম।

একটি পুলিশ স্টেশনে বিক্ষুব্ধ জনতার হামলা ও অগ্নিসংযোগের পর থেকে তিন পুলিশ সদস্য নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানা গেছে। কাশ্মিরজুড়ে মোবাইল ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। জম্মুতে সাময়িক সময়ের জন্য অমরনাথ যাত্রা স্থগিত করা হয়েছে। স্কুল বোর্ড পরীক্ষাও বন্ধ রাখা হয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার কথা বলে ঘটনাস্থলে আধা সামরিক বাহিনীর ১২০০ সদস্যকে পাঠানোর পরিকল্পনা করছে সরকার।

উল্লেখ্য, শুক্রবার সেনা ও পুলিশের যৌথ অভিযানে বুরহান ওয়ানিসহ তিন হিজবুল যোদ্ধা নিহত হন। হিজবুল কমান্ডার নিহতের খবর ছড়িয়ে পড়লে শ্রীনগর এবং দক্ষিণ কাশ্মিরের বেশ কিছু এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। অনন্তনাগের কোকেরনাগ এলাকায় তার বাহিনীর সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর ‘বন্দুকযুদ্ধ’ চলাকালে বুরহান নিহত হন বলে দাবি পুলিশের। এ ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে পুলৌমা ও শ্রীনগরের আংশিক অঞ্চলে কারফিউ জারি করা হয়।

কারফিউ আর বাধা উপেক্ষা করে ভারতে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে প্রাণ হারানো হিজবুল মুজাহিদিন কমান্ডার বুরহান মুজফফর ওয়ানির জানাজায় মানুষের ঢল নামে। শেষ তাকে দেখা গিয়েছিল গত মাসে অনন্তনাগে তিন পুলিশকর্মীর নিহত হওয়ার পর সোস্যাল মিডিয়ায় সম্প্রচারিত ভিডিওতে। তখনও সে পুলিশের ওপর হামলার হুমকি দেয়। ভারতে তার পরিচিতি কাশ্মির উপত্যকায় সন্ত্রাসবাদের মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গিদের তালিকায় তার নাম ছিল।

(ওএস/পি/জুলাই ১০, ২০১৬)