গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : গোপালগঞ্জ সদর সাব-রেজিষ্ট্রার হেলেনা পারভিনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে এনে তার অপসারণের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে দলিল লেখক সমিতির সদস্যরা। বিগত ২৯ জুন থেকে তারা কোন দলিল না করে অবস্থান ধর্মঘট পালন করে আসছেন।

সাব-রেজিষ্ট্রার দলিল লেখকদেররে সাথে অসালিন ব্যবহার করে থাকেন এবং দলিল রেজিষ্ট্রি করতে অতিরিক্ত অর্থ দাবী করে থাকেন এমন অভিযোগও করা হয়েছে।

সোমবার দুপুরে জেলা রেজিষ্ট্রারের মাধ্যমে ওই সাব-রেজিষ্ট্রারের অপসারণের দাবিতে মহা পরিদর্শক নিবন্ধনের কাছে একটি স্মারকলিপি পেশ করেছেন দলিল লেখকরা।

এদিকে, দলিল লেখকদের এ আন্দোলনের মাঝে ওই সাব-রেজিষ্ট্রার ১৫ দিনের ছুটি নিয়ে কর্মস্থল ত্যাগ করেছেন। এতোদিন ধরে সদরের সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে কোন দলিল রেজিষ্ট্রি না হওয়ায় এখানে জমি ক্রেতা ও বিক্রেতারা পড়েছেন বিপাকে। দিনের পর দিন রেজিষ্ট্রি অফিসে এসে জমি দলিল করতে না পেরে তাদের ভোগান্তির শেষ থাকছেনা।

জেলা দলিল লেখক সমিতির সাধারন সম্পাদক অজয় কৃষ্ণ দত্ত সূর্য্য, সদর উপজেলা কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক খায়রুল আমিন খান, উপদেষ্টা সালাউদ্দিন খানের সাথে কথা হলে তারা জানান, বর্তমান সাব-রেজিষ্ট্রার হেলেনা পারভিন গত ২ মে এই অফিসে যোগদানের পর থেকে অফিসটাকে একটা দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত করেছেন। দলিল করতে গেলে তাকে অতিরিক্ত টাকা দিতে হয়। এ চাপ গুলো পড়ে দলিল করতে আসা লোকজনের উপর। আমরা তার এ দুর্নীতির হাত থেকে রেহাই চাই এবং তার অপসারণ চাই। তারা জানান, এই সাব-রেজিষ্ট্রারের অন্যত্র বদলির আদেশ না হওয়া পর্যন্ত তারা তাদের আন্দেলন চালিয়ে যাবেন।

এ ব্যাপারে জেলা রেজিষ্ট্রার আনোয়ারুল হক চৌধুরীর সাথে কথা হলে তিনি সাধারন জনগনের ভোগান্তির কথা স্বীকার করে সাংবাদিকদেরকে জানান, জনগনের ভোগান্তির কথা বিবেচনা করে তিনি ইতোমধ্যে টুঙ্গিপাড়া সাব-রেজিষ্ট্রারকে সপ্তাহে ২দিন সদর অফিসে কাজ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন এবং সদর সাব-রেজিষ্ট্রার হেলেনা পারভিনের বিষয়ে তিনি কোন লিখিত অভিযোগ পাননি বলে জানান। অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

(পিএম/এএস/জুলাই ১৮, ২০১৬)